০৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হুমায়রা হিমুর মৃত্যুতে কারাগারে বয়ফ্রেন্ড

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৪৮২ বার দেখা হয়েছে

অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার বয়ফ্রেন্ড মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শনিবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সাব্বির হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

তার পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর নওশের আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনায় হিমুর খালা নাহিদ আক্তার জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে আসামি করে মামলাটি করেন।

মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। গত ৬ মাস আগে থেকে সে নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত করে এবং মাঝে-মধ্যে বাসায় রাত্রী যাপন করতো। ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক দেয় হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩ টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দিলে মিহির বাসার মেইন দরজা খুলে দিলে সে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। মিহির তার রুমে চলে যায়। ৫ টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলে হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন সে বাথরুমে ছিল বলে জানায়। ওই সময় হিমু রুমের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মিহির সাথে সাথে হিমুর রুমে প্রবেশ করে গলায় রশি লাগানো ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পায়। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষনিক তারা দুইজন হিমুকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুইটি নিয়ে কৌশলে চলে যায়।

হিমু আসামির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক দেয়। ওই বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হলে রুফি হিমুকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করে। হিমু বিকেল ৩ টার পর থেকে ৫ টা আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় রাগে ও ক্ষোভে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করেন নাহিদ আক্তার।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

হুমায়রা হিমুর মৃত্যুতে কারাগারে বয়ফ্রেন্ড

আপডেট: ১২:৫২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার বয়ফ্রেন্ড মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শনিবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সাব্বির হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

তার পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর নওশের আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনায় হিমুর খালা নাহিদ আক্তার জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে আসামি করে মামলাটি করেন।

মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। গত ৬ মাস আগে থেকে সে নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত করে এবং মাঝে-মধ্যে বাসায় রাত্রী যাপন করতো। ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক দেয় হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩ টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দিলে মিহির বাসার মেইন দরজা খুলে দিলে সে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। মিহির তার রুমে চলে যায়। ৫ টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলে হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন সে বাথরুমে ছিল বলে জানায়। ওই সময় হিমু রুমের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মিহির সাথে সাথে হিমুর রুমে প্রবেশ করে গলায় রশি লাগানো ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পায়। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষনিক তারা দুইজন হিমুকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুইটি নিয়ে কৌশলে চলে যায়।

হিমু আসামির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক দেয়। ওই বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হলে রুফি হিমুকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করে। হিমু বিকেল ৩ টার পর থেকে ৫ টা আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় রাগে ও ক্ষোভে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করেন নাহিদ আক্তার।

ঢাকা/এসএম