বিসিবিতে অভিযানের পর দুদক কর্মকর্তা
১৯-২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে

- আপডেট: ০৫:৫৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ১০৩২১ বার দেখা হয়েছে
হঠাৎ করেই আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় দেড়ঘণ্টার সেই অভিযানে ছিলেন সংস্থাটির তিন সদস্য। পরে তারা জানান, তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান ও টিকিট বিক্রি বাবদ ১৯-২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আজ দুপুর ১২টা নাগাদ মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে যান দুদকের একটি দল। পরে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, ‘মুজিববর্ষে বরাদ্দ ছিলো ১৫ কোটি টাকা। খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। তবে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি টাকার ডকুমেন্টস দেখাতে পেরেছে বিসিবি। আর দুই কোটি টাকা মুখে খরচের কথা বলেছে। সবমিলিয়ে ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘(ঘরোয়া প্রতিযোগিতা) তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে গত কয়েক বছর ২-৩টি দল অংশ নিতো। এবার নিয়েছে ৬০টি দল। এটা কি শুধুই এন্ট্রি ফি কমানোর জন্য নাকি অন্য কারণে, সেটা খতিয়ে দেখছে দুদক। এছাড়া বিপিএলের প্রথম ৮ আসরে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি টাকা, আর একাদশতম আসরেই টিকিট বিক্রিতে আয় ১৩ কোটি টাকা। এটা নিয়েও তদন্ত করছে দুদক।’
আরও পড়ুন: ‘নতুন ধান উঠে আসলে চালের বাজার আরও সহনীয় হবে’
দুদকের আরেক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। তার মধ্যে ছিল তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের বিষয় ও ২০২৩ সালের টিম সিলেকশন নিয়ে। বিগত বছরগুলোতে কীভাবে হয়েছে সেটা আমরা এখানে এসে দেখেছি। তাদের আবেদনের জন্য ফি নির্ধারিত ছিল ৫ লাখ টাকা। তখন এখানে ২-৩টা দল আবেদন করত। তা থেকেই তারা বাছাই করত ২/১টা দল। এবার ফি যখন এক লাখ টাকা করে দিলো, তখন ৬০টা দল আবেদন করেছে। আমরা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছি। এই জিনিসগুলো আমরা এখন যাচাই-বাছাই করব।’
ঢাকা/টিএ