অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য ২০২৪ সালটি ছিল ভয়াবহ। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) শুক্রবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

বিবৃতিতে আইওএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে স্বপ্নের গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিপদসঙ্কুল পথ বেছে নেওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে পথেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ হাজার ৯৩৮ জন । এর আগে কখনও কোনো এক বছরে এত সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু ঘটেনি।

এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি বড় অংশ ভূমধ্যসাগরের এশিয়া ও আফ্রিকান উপকূল থেকে ইউরোপের পথে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য রুটেও মৃত্যুর হার ছিল বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর আর একটি বড় কারণ সহিংসতা। আইওএমের হিসাব বলছে, ২০২৪ সালে যত অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশের নিহত হওয়ার কারণ গুলি, ছুরিকাঘাত এবং প্রহার। অনেকক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় বাহিনী সরাসরি এসব সহিংসতা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

আইওএমের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ইরান, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং মেক্সিকোতে এ ধরনের সহিংসতার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য কারা দায়ী— সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

বিবৃতিতে আইওএমের মহাপরিচালক উগোশি ড্যানিয়েলস বলেছেন, “বিশ্বজুড়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্রমবর্ধমান মৃত্যু আমাদের এই বার্তা দিচ্ছে যে এ সংকট মোকাবিলা করার জন্য আমাদের একটি আন্তর্জাতিক ও সামগ্রিক নীতি প্রয়োজন। আমরা এ ধরনের দুঃখজনক প্রাণহানি আর দেখতে চাই না।”

সূত্র: রয়টার্স

ঢাকা/এসএইচ