০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩০ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৩৪৩ বার দেখা হয়েছে

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনেই এসেছে ২৪৪ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৪৬ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় এবারের রমজান ও ঈদ সামনে রেখে অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ঈদের পরপরই আছে আরেকটি উৎসব। চলতি বছর জাতীয় নির্বাচনেরও আভাস আছে। এ সবই অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। ফলে রমজান, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের উৎসব ঘিরে অর্থনীতি কিছুটা চাঙা হয়েছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বেড়ে যায় প্রবাস আয়ের গতি। একই সঙ্গে কমেছে হুন্ডি কারবারি এবং অর্থপাচার। তা ছাড়া খোলা বাজারের মতোই ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আট মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম আট মাসে ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে। সে হিসেবে গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ৩৫৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উৎসবকে ঘিরে মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ ঘন ঘন হাতবদল হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে। তবে এর সঙ্গে সরবরাহ ঠিক রাখতে না পারলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে।

আরও পড়ুন: স্ত্রীসহ এস আলমের নামে মামলা

প্রবাসী আয়ের উল্লম্ফনে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে একের পর এক রেকর্ড হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎসের মধ্যে আছে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক ঋণ, অনুদান ইত্যাদি। এর মধ্যে প্রবাসী আয় ছাড়া বিদেশি মুদ্রা আয়ের অন্য খাতগুলো ছিল নেতিবাচক পরিস্থিতিতে। রিজার্ভের ব্যয়ের বড় জায়গা হচ্ছে আমদানি ব্যয়, নানা ধরনের ঋণ ও দায় পরিশোধ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩০ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০৬:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনেই এসেছে ২৪৪ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৪৬ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় এবারের রমজান ও ঈদ সামনে রেখে অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ঈদের পরপরই আছে আরেকটি উৎসব। চলতি বছর জাতীয় নির্বাচনেরও আভাস আছে। এ সবই অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। ফলে রমজান, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের উৎসব ঘিরে অর্থনীতি কিছুটা চাঙা হয়েছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বেড়ে যায় প্রবাস আয়ের গতি। একই সঙ্গে কমেছে হুন্ডি কারবারি এবং অর্থপাচার। তা ছাড়া খোলা বাজারের মতোই ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আট মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম আট মাসে ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে। সে হিসেবে গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ৩৫৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উৎসবকে ঘিরে মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ ঘন ঘন হাতবদল হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে। তবে এর সঙ্গে সরবরাহ ঠিক রাখতে না পারলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে।

আরও পড়ুন: স্ত্রীসহ এস আলমের নামে মামলা

প্রবাসী আয়ের উল্লম্ফনে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে একের পর এক রেকর্ড হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎসের মধ্যে আছে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক ঋণ, অনুদান ইত্যাদি। এর মধ্যে প্রবাসী আয় ছাড়া বিদেশি মুদ্রা আয়ের অন্য খাতগুলো ছিল নেতিবাচক পরিস্থিতিতে। রিজার্ভের ব্যয়ের বড় জায়গা হচ্ছে আমদানি ব্যয়, নানা ধরনের ঋণ ও দায় পরিশোধ।

ঢাকা/টিএ