২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চান প্রধানমন্ত্রী

- আপডেট: ০২:০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
- / ১০৪১৬ বার দেখা হয়েছে
২৫শে মার্চ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বর্বরোচিত গণহত্যা চালানোর এক ভয়াল স্মৃতির কালরাত এই ২৫ শে মার্চ। ১৯৭১ সালের এই রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে রচিত হয়েছিল বিশ্বের নৃশংসতম গণহত্যার এক কালো অধ্যায়। কিন্তু স্বধীনতার ৫২ বছরেও ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। আজ শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের সংদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভার স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেছেন।
আজ শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবি করেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সভায় শেখ হাসিনা বলেছেন, সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে ৩ কোটি মানুষ মানুষ গৃহহারা হয়, এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে ছিল, লাশ শেয়াল কুকুরে খেয়েছে, সেটা মানুষ দেখেছে, মেয়েদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে পাশবিক অত্যাচার করেছে। কাজেই ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাক সেটাই আমরা চাই।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ জাতির পিতা গড়ে তুলেছিলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবেও আমরা স্বীকৃতি পেয়েছিলাম। মাত্র তিন বছর সাত মাস তিনদিন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টের পরে ৩ নভেম্বর জাতির পিতার পরে চার জাতীয় নেতা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। আমি শুধু এটুকু বলবো, শহীদের রক্ত বৃথা যায় না। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। লাখো শহীদের কাছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
ঢাকা/এসএ