০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

৩.৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
  • / ১০৪২৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক থেকে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। যা এক বছরে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের সর্বোচ্চ অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি। এছাড়া সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে হাইয়ার অ্যাডুকেশন অ্যাকসিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সমিশন প্রকল্পের জন্য ১৯ দশমিক ১ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে শেক অর্থায়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২৩ হতে জুন ২০২৮ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য সর্ববৃহৎ বহুপাক্ষিক উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর হতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও লজিস্টিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমন্বয় নগরায়নসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ যোগান দিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে এসডিআরে বর্ণিত ঋণ গ্রহণ করা হবে এবং গৃহীত ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এসডিআরে গৃহীতব্য ঋণের অর্থের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি প্রদেয় হবে। তবে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থ বছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি মওকুফ করে আসছে।

আরও পড়ুন: এডিবির ৪০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, গত এক দশকের অধিককাল ধরে বাংলাদেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষা ক্ষেত্রের আকর্ষণীয় ক্ষতি মোকাবেলা এবং উচ্চ শিক্ষিতদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নারীদের উন্নয়নের একটি বিরাট সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি করার উদ্দেশে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বাজার চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষা কোর্স প্রবর্তন, উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর জন্য একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং মহিলা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক স্থাপন ইত্যাদি।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

৩.৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

আপডেট: ০৭:০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক থেকে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। যা এক বছরে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের সর্বোচ্চ অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি। এছাড়া সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে হাইয়ার অ্যাডুকেশন অ্যাকসিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সমিশন প্রকল্পের জন্য ১৯ দশমিক ১ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে শেক অর্থায়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২৩ হতে জুন ২০২৮ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য সর্ববৃহৎ বহুপাক্ষিক উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর হতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও লজিস্টিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমন্বয় নগরায়নসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ যোগান দিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে এসডিআরে বর্ণিত ঋণ গ্রহণ করা হবে এবং গৃহীত ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এসডিআরে গৃহীতব্য ঋণের অর্থের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি প্রদেয় হবে। তবে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থ বছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি মওকুফ করে আসছে।

আরও পড়ুন: এডিবির ৪০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, গত এক দশকের অধিককাল ধরে বাংলাদেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষা ক্ষেত্রের আকর্ষণীয় ক্ষতি মোকাবেলা এবং উচ্চ শিক্ষিতদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নারীদের উন্নয়নের একটি বিরাট সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি করার উদ্দেশে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বাজার চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষা কোর্স প্রবর্তন, উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর জন্য একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং মহিলা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক স্থাপন ইত্যাদি।

ঢাকা/টিএ