০৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

৪৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ: প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ১০৪৮৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রিমিয়ার ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের জনসংযোগ শাখা বিষয়টি জানিয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের গুলশান শাখার এসভিপি অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার (বরখাস্ত) এএম ওমর খসরু, সাবেক এসইও অ্যান্ড জেনারেল ব্যাংকিং অফিসিয়াল আকবর হোসেন, সাবেক জেএভিপি অ্যান্ড জিবি ইনচার্জ কাজী কাওসার হোসেন, সাবেক জেএভিপি অ্যান্ড ইমপোর্ট ইনচার্জ মো. সাহেদ হোসেন, সাবেক জেএডিপি এড রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. মঞ্জুর হাসান ও সাবেক জুনিয়র অফিসার (বৈদেশিক বাণিজ্য) রুহুল আমিন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত এফডিআর, এসডিএস, এসএনডিসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী খাতের প্রায় ৪৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংকটির গুলশান শাখার বিভিন্ন গ্রাহকের চারটি এফডিআরে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ১২২, ২২টি পে-অর্ডারের ২ কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩১২ এবং ৫৯ জন গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে ৬১৩টি চেক ও একটি ক্রেডিট ভাউচারের ৩৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকাসহ মোট ৪২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৯ টাকা।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাব খাত থেকে টাকা বিভিন্ন নামের হিসাব খাতে স্থানান্তর করে এফডিআর হিসাবে এনে নগদায়ন করা হয়েছে। একটি এফডিআরের বিপরীতে আবেদন ফরম পাওয়া গেলেও কোনো মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়নি। চারটি এফডিআরের হিসাব অস্তিত্বহীন লোকের নামে খোলা হয়েছিল। হিসাব খোলার পরপরই তা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমায় সাড়া কম

প্রতিবেদন সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫৯ গ্রাহকের হিসাব থেকে মোট ৬১৩টি চেক ও একটি ক্রেডিট ভাউচারের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আসামিরা সিস্টেম লেনদেনের আইডি ও একে অন্যের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছে। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

৪৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ: প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট: ০১:২৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রিমিয়ার ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের জনসংযোগ শাখা বিষয়টি জানিয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের গুলশান শাখার এসভিপি অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার (বরখাস্ত) এএম ওমর খসরু, সাবেক এসইও অ্যান্ড জেনারেল ব্যাংকিং অফিসিয়াল আকবর হোসেন, সাবেক জেএভিপি অ্যান্ড জিবি ইনচার্জ কাজী কাওসার হোসেন, সাবেক জেএভিপি অ্যান্ড ইমপোর্ট ইনচার্জ মো. সাহেদ হোসেন, সাবেক জেএডিপি এড রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. মঞ্জুর হাসান ও সাবেক জুনিয়র অফিসার (বৈদেশিক বাণিজ্য) রুহুল আমিন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত এফডিআর, এসডিএস, এসএনডিসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী খাতের প্রায় ৪৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংকটির গুলশান শাখার বিভিন্ন গ্রাহকের চারটি এফডিআরে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ১২২, ২২টি পে-অর্ডারের ২ কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩১২ এবং ৫৯ জন গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে ৬১৩টি চেক ও একটি ক্রেডিট ভাউচারের ৩৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকাসহ মোট ৪২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৯ টাকা।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাব খাত থেকে টাকা বিভিন্ন নামের হিসাব খাতে স্থানান্তর করে এফডিআর হিসাবে এনে নগদায়ন করা হয়েছে। একটি এফডিআরের বিপরীতে আবেদন ফরম পাওয়া গেলেও কোনো মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়নি। চারটি এফডিআরের হিসাব অস্তিত্বহীন লোকের নামে খোলা হয়েছিল। হিসাব খোলার পরপরই তা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমায় সাড়া কম

প্রতিবেদন সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫৯ গ্রাহকের হিসাব থেকে মোট ৬১৩টি চেক ও একটি ক্রেডিট ভাউচারের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আসামিরা সিস্টেম লেনদেনের আইডি ও একে অন্যের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছে। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ