০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

‘৫০ বছর আগে দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০৩৮২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: এখন থেকে ৫০ বছর আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি গড়ে দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আজকের বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তার মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। কৃষি, ব্যাংক-বিমা, বিদ্যুৎ-যোগাযোগ, সব বিষয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দিয়ে গেছেন তিনি।

বুধবার (১১ আগস্ট) ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন: শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে এই আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আরও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে সরকার।

এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক যে এখনো লাল ফিতার দৌরাত্ম রয়ে গেছে। এটা হয়তো সারা জীবনই থাকবে। তবে কিছুটা হয়তো কমিয়ে আনা যাবে। এ কে আজাদের অন্য দুই প্রসঙ্গ মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং মানব সম্পদ উন্নয়নে দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন তিনি। এ সবের উন্নয়নে আরো বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে বলে মত দেন তিনি।

মন্ত্রীর বক্তব্যের আগে প্যানেল আলোচনায় এ কে আজাদ বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এ ৫ মৌলিক অধিকারর নিরাপত্তা চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার আগেই তিনি বলেছিলেন, জাল যার জলা তার।ছাত্ররা শিক্ষা পাবে। তার ফলে চাকরি পাবে। তবে সেই স্বপ্ন কি পুরোপুরি পূরণ হচ্ছে? এখনো শিল্প পরিচালনায় দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনে ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার প্রতি বছর চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। লাল ফিতার দৌরাত্ম এখনো রয়ে গেছে। এক তিতাসের সংযোগ পেতে ১৩৬ জায়গায় যেতে হয়। বিদুতের সরবরাহ বাড়লেও মানসম্পন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়নি। ব্যবসা পরিচালনায় এসবের সমাধান চান উদ্যোক্তারা।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেস্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরবর্তী বাস্তবতায় পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া কলকারখানা জাতীয়করণ করেছেন, কিন্তু দেশ স্থিতিশীল হওয়ার পরে, সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যমূলক অর্থনীতি গঠন করাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন।

সেমিনারে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

‘৫০ বছর আগে দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু’

আপডেট: ০৮:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: এখন থেকে ৫০ বছর আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি গড়ে দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আজকের বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তার মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। কৃষি, ব্যাংক-বিমা, বিদ্যুৎ-যোগাযোগ, সব বিষয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দিয়ে গেছেন তিনি।

বুধবার (১১ আগস্ট) ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন: শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে এই আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আরও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে সরকার।

এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক যে এখনো লাল ফিতার দৌরাত্ম রয়ে গেছে। এটা হয়তো সারা জীবনই থাকবে। তবে কিছুটা হয়তো কমিয়ে আনা যাবে। এ কে আজাদের অন্য দুই প্রসঙ্গ মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং মানব সম্পদ উন্নয়নে দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন তিনি। এ সবের উন্নয়নে আরো বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে বলে মত দেন তিনি।

মন্ত্রীর বক্তব্যের আগে প্যানেল আলোচনায় এ কে আজাদ বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এ ৫ মৌলিক অধিকারর নিরাপত্তা চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার আগেই তিনি বলেছিলেন, জাল যার জলা তার।ছাত্ররা শিক্ষা পাবে। তার ফলে চাকরি পাবে। তবে সেই স্বপ্ন কি পুরোপুরি পূরণ হচ্ছে? এখনো শিল্প পরিচালনায় দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনে ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার প্রতি বছর চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। লাল ফিতার দৌরাত্ম এখনো রয়ে গেছে। এক তিতাসের সংযোগ পেতে ১৩৬ জায়গায় যেতে হয়। বিদুতের সরবরাহ বাড়লেও মানসম্পন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়নি। ব্যবসা পরিচালনায় এসবের সমাধান চান উদ্যোক্তারা।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেস্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরবর্তী বাস্তবতায় পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া কলকারখানা জাতীয়করণ করেছেন, কিন্তু দেশ স্থিতিশীল হওয়ার পরে, সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যমূলক অর্থনীতি গঠন করাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন।

সেমিনারে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: