০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৬৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রে ফাঁসলেন রাজউক উপপরিচালক ও তার স্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৩৫১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

৬৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের হিসাব দিতে না পারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ফাঁসলেন রাজউকের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. সোহাগ মিয়া ও তার স্ত্রী ওয়াজেফু তাবাসসুম ঐশী।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওয়াজেফু তাবাসসুম ঐশী ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। উক্ত বিবরণীতে তিনি মোট ৬৩ লাখ ১১ হাজার ২২২ টাকার অস্থাবর সম্পদ বা সঞ্চয়পত্রের তথ্য উপস্থাপন করেন। সেখানে দাবি করেন, ওই টাকা তার পিতা মো. ওয়াজেদ আলীর কাছ থেকে প্রাপ্ত। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার পিতা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী।  যিনি কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে ফোরম্যান পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি অবসরের সময় ভবিষ্যৎ তহবিল ও পেনশন বাবদ মোট ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ৪৫১ টাকা পেয়েছেন। উক্ত পরিমাণ অর্থ থেকে কন্যাকে দান, ঋণ বা অনুদান প্রদানের কোনো লিখিত বা আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি আসামির বড় ভাই ওয়াহেদুস সাবা মিথুনকেও কোনো সম্পত্তি হস্তান্তরের নজির নেই।

আরও পড়ুন: সরকারি কোষাগারে সরাসরি ‘এ চালানে’ শুল্ক-কর দেওয়ার সুবিধা

দুদকের অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, ঐশী একজন গৃহিণী। তার নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস বা অর্থ উপার্জনের তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া ২০২২ সালে তিনি আয়কর নিবন্ধন নিলেও কোনো আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি। প্রাপ্ত তথ্য ও রেকর্ডপত্র অনুসারে দুদক মনে করে তিনি ও তার স্বামী পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

৬৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রে ফাঁসলেন রাজউক উপপরিচালক ও তার স্ত্রী

আপডেট: ০২:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

৬৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের হিসাব দিতে না পারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ফাঁসলেন রাজউকের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. সোহাগ মিয়া ও তার স্ত্রী ওয়াজেফু তাবাসসুম ঐশী।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওয়াজেফু তাবাসসুম ঐশী ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। উক্ত বিবরণীতে তিনি মোট ৬৩ লাখ ১১ হাজার ২২২ টাকার অস্থাবর সম্পদ বা সঞ্চয়পত্রের তথ্য উপস্থাপন করেন। সেখানে দাবি করেন, ওই টাকা তার পিতা মো. ওয়াজেদ আলীর কাছ থেকে প্রাপ্ত। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার পিতা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী।  যিনি কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে ফোরম্যান পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি অবসরের সময় ভবিষ্যৎ তহবিল ও পেনশন বাবদ মোট ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ৪৫১ টাকা পেয়েছেন। উক্ত পরিমাণ অর্থ থেকে কন্যাকে দান, ঋণ বা অনুদান প্রদানের কোনো লিখিত বা আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি আসামির বড় ভাই ওয়াহেদুস সাবা মিথুনকেও কোনো সম্পত্তি হস্তান্তরের নজির নেই।

আরও পড়ুন: সরকারি কোষাগারে সরাসরি ‘এ চালানে’ শুল্ক-কর দেওয়ার সুবিধা

দুদকের অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, ঐশী একজন গৃহিণী। তার নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস বা অর্থ উপার্জনের তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া ২০২২ সালে তিনি আয়কর নিবন্ধন নিলেও কোনো আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি। প্রাপ্ত তথ্য ও রেকর্ডপত্র অনুসারে দুদক মনে করে তিনি ও তার স্বামী পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ