৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবে মনোস্পুল ও পেপার প্রসেসিং

- আপডেট: ১২:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
- / ১০৪২০ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের প্রায় ৯ শতাংশ করে বাজারে ছাড়বে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানি দুটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
কোম্পানি দুটি ঈদের আগের সপ্তাহে অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল আলাদা আলাদা করে বিএসইসির কাছে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এ বিষয় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কোম্পানি দুটির আবেদনের প্রেক্ষিতে কমিশন শেয়ার কোম্পানির শেয়ার বাজারে অফলোডের অনুমতি দিয়েছে।
মাগুরা গ্রুপের পেপার খাতের কোম্পানি দুটির মধ্যে পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা তাদের হাতে থাকা ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার বা ১১ দশমিক ৬৪ লাখ শেয়ার অফলোড বা বিক্রি করবে। তাদের কাছে কোম্পানির মোট ৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অপর কোম্পানি বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা তাদের হাতে থাকা ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ১০ দশমিক ৬৪ লাখ শেয়ার পুঁজিবাজারে অফলোড বা বিক্রি করবে। তাদের হাতে কোম্পানিটির ৫৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, শেয়ার বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই কোম্পানিগুলোকে এসইসি (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের নিষেধাজ্ঞা) বিধিমালা, ১৯৯৫ পরিপালন করতে হবে।
অন্যদিকে, কোম্পানিগুলোর সুদের বোঝা কমানো,ব্যাংকিং সুবিধা নিয়মিত করা এবং ব্যাংকের দায় পরিশোধের জন্য এই টাকা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সেই জন্যে শেয়ার বিক্রির পুরো টাকা কোম্পানিকে সুদমুক্ত ঋণ দিতে হবে। একই সাথে শেয়ার বিক্রি করার পর এই কার্যক্রম শেষ করে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিএসইসিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সাথে ব্যাংক ঋণ পরিশোধের বিষয়টি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসাবে প্রচার করতে বলা হয়েছে। শেয়ার বিক্রির আগে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী একটি ঘোষণা দিতে বলা হয়েছে।
পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং: ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬০০। এর মধ্যে ৪৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, দশমিক ৫৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫৫ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং: ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫। এর মধ্যে ৫৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, দশমিক ৩৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৫ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদে ঋণ রয়েছে ৩০ কোটি ৭৬ লাখ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ঋণের পরিমাণ হলো ৪২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
ঢাকা/টিএ