ঢাকার সবাই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে: স্বাস্থ্য অধিদফতর

- আপডেট: ০৭:২৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
- / ১০৩৬৪ বার দেখা হয়েছে
এডিস মশার প্রাক মৌসুম জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, পুরো ঢাকার সবাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। দুই সিটি করপোরেশনের সমান সংখ্যক ওয়ার্ডে নির্ধারিত মাত্রার বেশি এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বুধবার (৪ জুলাই) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে প্রাক মৌসুম জরিপের এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
জরিপের তথ্য বলছে, ঢাকা উত্তর সিটির ৪০টি ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণ সিটির ৫৮টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ৩ হাজার ১৪৯টি বাড়িতে সার্ভে করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৪৯টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
অধ্যাপক নাজমুল বলেন, ‘এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স’র মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সার্ভেতে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে।
প্রাক মৌসুম জরিপের তথ্য বলছে, ঢাকা উত্তর সিটির ২, ৩, ৫, ৬, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৬, ১৮, ১৯, ২২, ২৩, ২৬, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪১, ৪৪, ৪৬, ৪৮, ৫০, ৫১, ৫৪, ৫৫, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ওয়ার্ডে লার্ভার ঘনত্ব বেশি।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল বলেন, ‘দুটি সিটি করপোরেশন এলাকা একই ঝুঁকির মধ্যে আছে। সামগ্রিকভাবে পুরো ঢাকা শহরে যেখানেই বৃষ্টির পানি জমে থাকার সুযোগ পেয়েছে সেখানেই এডিস মশার লার্ভা হয়েছে। দুই সিটিতেই আমরা কাছাকাছি পরিমাণ লার্ভার উপস্থিতি পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ৬৫টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে: আইনমন্ত্রী
এ সময় ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশারসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা।
ঢাকা/এসএম