০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

জুলাইয়ে এটিএম বুথে লেনদেন কমেছে নয় হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৪০৬ বার দেখা হয়েছে

চলতি বছরের জুলাই মাসে এটিএম বুথের লেনদেনে ভাটা পড়েছে। জুলাইয়ে এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করা হয় ২৪ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। এর আগের মাস অর্থাৎ জুনে এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করা হয় ৩৩ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে এটিএম বুথে লেনদেন কমেছে ৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন এমন তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষের জীবনযাত্রা আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। এটিএম বুথ থেকে মানুষ সহজে টাকা উঠাতে পারছেন। এছাড়া সিআরএম বুথে মানুষ এখন টাকা জমা ও উত্তোলন দুই-ই করতে পারছে। এতে সময় বেঁচে যাচ্ছে। ব্যাংকের কাজও কমছে। তাঁদের জনবল নিয়োগের খরচও কমছে। তবে দেশে মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বগতি ও কিছুটা আর্থিক অস্থিরতা চলছে। এসবের প্রভাব জুলাইয়ের লেনদেনে পড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

একইভাবে জুলাইয়ে পয়েন্ট অব সেলসে (পিওএস) লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৪৭ কোটি টাকা। পিওএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ৯২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকায়।

একইভাবে মেশিনে টাকা জমা দেওয়ার (সিআরএম) পরিমাণও বেশ কমেছে। সিআরএম মেশিনে জুলাইয়ে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। এর আগের মাসে যার পরিমাণ ছিলো ১০ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এই মাধ্যমে টাকা জমার পরিমাণ কমেছে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে পুরো ঋণ পরিশোধ করলো শ্রীলঙ্কা

তবে এই সময়ে ঘরে বসে কার্ড বা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ই-কমার্স লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। জুনে ই-কমার্সে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। জুলাইয়ে লেনদেন বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪২৭ কোটি টাকায়। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন বেড়েছে ৩৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত অর্থবছর শেষে দেশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা এটিএম সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭২৫টি। জুলাইয়ে এটিএমে মোট ২ কোটি ৫৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৯৫টি লেনদেন হয়েছিলো। এছাড়া ১ লাখ ৬ হাজার ৮৩২টি পয়েন্ট অব সেলসে ৫৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৮টি লেনদেন, ৩ হাজার ৫১৭টি সিআরএমে ৭ লাখ ২৩ হাজার ২৫৫টি লেনদেন হয়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

জুলাইয়ে এটিএম বুথে লেনদেন কমেছে নয় হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০৬:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলতি বছরের জুলাই মাসে এটিএম বুথের লেনদেনে ভাটা পড়েছে। জুলাইয়ে এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করা হয় ২৪ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। এর আগের মাস অর্থাৎ জুনে এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করা হয় ৩৩ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে এটিএম বুথে লেনদেন কমেছে ৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন এমন তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষের জীবনযাত্রা আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। এটিএম বুথ থেকে মানুষ সহজে টাকা উঠাতে পারছেন। এছাড়া সিআরএম বুথে মানুষ এখন টাকা জমা ও উত্তোলন দুই-ই করতে পারছে। এতে সময় বেঁচে যাচ্ছে। ব্যাংকের কাজও কমছে। তাঁদের জনবল নিয়োগের খরচও কমছে। তবে দেশে মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বগতি ও কিছুটা আর্থিক অস্থিরতা চলছে। এসবের প্রভাব জুলাইয়ের লেনদেনে পড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

একইভাবে জুলাইয়ে পয়েন্ট অব সেলসে (পিওএস) লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৪৭ কোটি টাকা। পিওএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ৯২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকায়।

একইভাবে মেশিনে টাকা জমা দেওয়ার (সিআরএম) পরিমাণও বেশ কমেছে। সিআরএম মেশিনে জুলাইয়ে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। এর আগের মাসে যার পরিমাণ ছিলো ১০ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এই মাধ্যমে টাকা জমার পরিমাণ কমেছে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে পুরো ঋণ পরিশোধ করলো শ্রীলঙ্কা

তবে এই সময়ে ঘরে বসে কার্ড বা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ই-কমার্স লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। জুনে ই-কমার্সে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। জুলাইয়ে লেনদেন বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪২৭ কোটি টাকায়। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন বেড়েছে ৩৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত অর্থবছর শেষে দেশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা এটিএম সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭২৫টি। জুলাইয়ে এটিএমে মোট ২ কোটি ৫৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৯৫টি লেনদেন হয়েছিলো। এছাড়া ১ লাখ ৬ হাজার ৮৩২টি পয়েন্ট অব সেলসে ৫৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৮টি লেনদেন, ৩ হাজার ৫১৭টি সিআরএমে ৭ লাখ ২৩ হাজার ২৫৫টি লেনদেন হয়।

ঢাকা/এসএ