০৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বে অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৪৬১ বার দেখা হয়েছে

ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার পর ভারতকে দায়ী করে কানাডা। কিন্তু ভারত এ হত্যাণ্ডর কথা অস্বীকার করলে পুনরায় আবারও ভারতের সম্পৃক্ততার কথা জানান ট্রুডো। এ নিয়ে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি কূটনীতিকদের বহিষ্কারও করে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভারত ও কানাডার মধ্যে এমন টানাপোড়নের মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে ভারতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে তার দেশ।

শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ব্লিনকেন বলেন, হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ তুলেছেন, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ইস্যুতে ভারতের উচিত কানাডাকে সহযোগিতা করা।

গত ১৮ জুন দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের রাজধানী ভ্যানকুভারের একটি গুরুদুয়ারার সামনে নিহত হন হরদীপ সিং। ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জর ভারতের খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার শীর্ষ নেতা ছিলেন।

নিজ্জরের হত্যার জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার এই বক্তব্যের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।

 আরও পড়ুন: চার দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মিয়ানমার

এদিকে, দুই দেশের চলমান ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি কার পক্ষ নিবে তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র নিজদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। উল্লেখ্য, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর থেকে ১৯৭৭ সালে কানাডায় গিয়েছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জর, পরে সেই দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেন।

সূত্র: রয়টার্স

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বে অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: ০১:২১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার পর ভারতকে দায়ী করে কানাডা। কিন্তু ভারত এ হত্যাণ্ডর কথা অস্বীকার করলে পুনরায় আবারও ভারতের সম্পৃক্ততার কথা জানান ট্রুডো। এ নিয়ে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি কূটনীতিকদের বহিষ্কারও করে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভারত ও কানাডার মধ্যে এমন টানাপোড়নের মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে ভারতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে তার দেশ।

শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ব্লিনকেন বলেন, হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ তুলেছেন, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ইস্যুতে ভারতের উচিত কানাডাকে সহযোগিতা করা।

গত ১৮ জুন দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের রাজধানী ভ্যানকুভারের একটি গুরুদুয়ারার সামনে নিহত হন হরদীপ সিং। ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জর ভারতের খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার শীর্ষ নেতা ছিলেন।

নিজ্জরের হত্যার জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার এই বক্তব্যের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।

 আরও পড়ুন: চার দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মিয়ানমার

এদিকে, দুই দেশের চলমান ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি কার পক্ষ নিবে তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র নিজদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। উল্লেখ্য, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর থেকে ১৯৭৭ সালে কানাডায় গিয়েছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জর, পরে সেই দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেন।

সূত্র: রয়টার্স

ঢাকা/এসএম