০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

আমানত ও ঋণ বিতরণ সুষম বণ্টন করতে হবে: ড. ফরাসউদ্দিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • / ১০৪৩৫ বার দেখা হয়েছে

ব্যাংকিং সেক্টরের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, অনেকেই বলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। ‌আমি এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। আমি মনে করি যে, বাংলাদেশের ব্যাংকের সংখ্যা নয়, মূল সমস্যা শাখা। কারণ ব্যাংকগুলো আমানত এবং ঋণ বিতরণের বিষয়টি রাজধানী কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর ফকিরাপুলে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরাসউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেমন ব্যাংক অনুমোদনের অনুমতি দেয়, তেমনি শাখা খোলার অনুমতি দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে একটি ব্যাংকের শাখা ১৫ হাজার লোকের সেবা দিয়ে থাকে। ভারত ও পাকিস্তানে ১২ হাজার লোকের সেবা দিয়ে থাকে। তাই জনসংখ্যা অনুপাতে আরও ব্যাংকের শাখা হতে পারে। কিন্তু আমানত ও ঋণ বিতরণ সুষম বণ্টন করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, ব্যাংকগুলো‌ আমানত ও ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে মতিঝিলে ৮০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করে, আর‌ বাকি ২০ শতাংশ গ্রাম-বাংলায় দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ ৪ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বের যে কয়টি দেশ জিডিপির ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে একটি। করোনার সময় ১৬ দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে, কোনো দেশের পকেটে ঢুকে যায়নি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফে সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইআরএফে সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

আমানত ও ঋণ বিতরণ সুষম বণ্টন করতে হবে: ড. ফরাসউদ্দিন

আপডেট: ১২:২১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

ব্যাংকিং সেক্টরের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, অনেকেই বলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। ‌আমি এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। আমি মনে করি যে, বাংলাদেশের ব্যাংকের সংখ্যা নয়, মূল সমস্যা শাখা। কারণ ব্যাংকগুলো আমানত এবং ঋণ বিতরণের বিষয়টি রাজধানী কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর ফকিরাপুলে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরাসউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেমন ব্যাংক অনুমোদনের অনুমতি দেয়, তেমনি শাখা খোলার অনুমতি দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে একটি ব্যাংকের শাখা ১৫ হাজার লোকের সেবা দিয়ে থাকে। ভারত ও পাকিস্তানে ১২ হাজার লোকের সেবা দিয়ে থাকে। তাই জনসংখ্যা অনুপাতে আরও ব্যাংকের শাখা হতে পারে। কিন্তু আমানত ও ঋণ বিতরণ সুষম বণ্টন করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, ব্যাংকগুলো‌ আমানত ও ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে মতিঝিলে ৮০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করে, আর‌ বাকি ২০ শতাংশ গ্রাম-বাংলায় দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ ৪ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বের যে কয়টি দেশ জিডিপির ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে একটি। করোনার সময় ১৬ দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে, কোনো দেশের পকেটে ঢুকে যায়নি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফে সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইআরএফে সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএইচ