১১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এবার বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৩২৯ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পর এবার বিশ্বের বৃহত্তম ‍ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক থেকেও ঋণ পাচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটের ঘূর্ণিতে থাকা শ্রীলঙ্কা। সোমবার এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করেছে, শিগগিরই শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই  বিশ্বব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে এই ‍ঋণ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকের তদবির এবং তৎপরতার কারণে সম্ভব হয়েছে এই ‍ঋণপ্রাপ্তি।

সদ্যসমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন দেশটির বামপন্থি নেতা অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের ১৬ দিনের মধ্যে ঋণ প্রদানের এই ঘোষণা এলো বিশ্বব্যাংক থেকে।

বিশ্বব্যাংকের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে দিশানায়েকে বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে এই ঋণের অর্থ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

আরও পড়ুন: চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন

করোনা মহামারি এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশের নেতৃত্বাধীন সরকারের অপব্যয় ও অদক্ষতার কারণে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয় শ্রীলঙ্কায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ডলারের সংকটের কারণে খাদ্য-জ্বালানি-ওষুধের মতো অতিজরুরি পণ্য আমদানি করার মতো অর্থও ছিলো না দেশটির।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এর আগে কখনও এমন সংকটে পড়েনি দেশটি। অভূতপূর্ব এই বিপর্যয়ের জন্য তৎকালীণ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশেকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন দেশটির সাধারণ জনগণ। ব্যাপক আন্দোলনের মুখে রনিল বিক্রমহাসিংহের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এক সময় দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন গোতাবায়া।

ক্ষমতা গ্রহণের পর ঋণের জন্য আইএমএফের কাছে আবেদন করে রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বাধীন সরকার। দীর্ঘ কয়েক মাস তদবিরের পর শ্রীলঙ্কাকে ২৯০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ দিতে সম্মত হয় আইএমএফ।

আইএমএফের ঋণের টাকায় বর্তমানে কোনো রকমে এগিয়ে চলছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। দেশটির অর্থনীতির চাকা পুরোপুরি সচল করতে হলে আরও ঋণ প্রয়োজন। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর ঋণের জন্য ফের আইএমএফের কাছে আবেদন করবে দেশটির সরকার।

শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে দেশটিতে।

সূত্র: এএফপি

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

এবার বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

আপডেট: ০১:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পর এবার বিশ্বের বৃহত্তম ‍ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক থেকেও ঋণ পাচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটের ঘূর্ণিতে থাকা শ্রীলঙ্কা। সোমবার এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করেছে, শিগগিরই শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই  বিশ্বব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে এই ‍ঋণ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকের তদবির এবং তৎপরতার কারণে সম্ভব হয়েছে এই ‍ঋণপ্রাপ্তি।

সদ্যসমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন দেশটির বামপন্থি নেতা অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের ১৬ দিনের মধ্যে ঋণ প্রদানের এই ঘোষণা এলো বিশ্বব্যাংক থেকে।

বিশ্বব্যাংকের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে দিশানায়েকে বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে এই ঋণের অর্থ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

আরও পড়ুন: চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন

করোনা মহামারি এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশের নেতৃত্বাধীন সরকারের অপব্যয় ও অদক্ষতার কারণে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয় শ্রীলঙ্কায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ডলারের সংকটের কারণে খাদ্য-জ্বালানি-ওষুধের মতো অতিজরুরি পণ্য আমদানি করার মতো অর্থও ছিলো না দেশটির।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এর আগে কখনও এমন সংকটে পড়েনি দেশটি। অভূতপূর্ব এই বিপর্যয়ের জন্য তৎকালীণ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশেকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন দেশটির সাধারণ জনগণ। ব্যাপক আন্দোলনের মুখে রনিল বিক্রমহাসিংহের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এক সময় দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন গোতাবায়া।

ক্ষমতা গ্রহণের পর ঋণের জন্য আইএমএফের কাছে আবেদন করে রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বাধীন সরকার। দীর্ঘ কয়েক মাস তদবিরের পর শ্রীলঙ্কাকে ২৯০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ দিতে সম্মত হয় আইএমএফ।

আইএমএফের ঋণের টাকায় বর্তমানে কোনো রকমে এগিয়ে চলছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। দেশটির অর্থনীতির চাকা পুরোপুরি সচল করতে হলে আরও ঋণ প্রয়োজন। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর ঋণের জন্য ফের আইএমএফের কাছে আবেদন করবে দেশটির সরকার।

শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে দেশটিতে।

সূত্র: এএফপি

ঢাকা/এসএইচ