০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়বে না: জ্বালানি উপদেষ্টা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৯৬ বার দেখা হয়েছে

আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না। তবে উৎপাদন খরচ কমিয়ে বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

উপদেষ্টা বলেন, দাম বৃদ্ধি করে বিদ্যুতের ভর্তুকির সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসবে সরকার। সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে খরচ কমানো হবে। এখন থেকে দাম বৃদ্ধির শুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না।

ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। বোর্ডে অনুমোদন হলে ১০ ফেব্রুয়ারি তা ছাড় করা হবে বলে জানা গেছে।

চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন, অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল  ঢাকা সফরে আসে। মিশন শেষে আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এসব তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে: অর্থ উপদেষ্টা

ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আইএমএফ। অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কারেই গুরুত্ব দিচ্ছে আইএমএফ। আর্থিকখাতের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে তিনি বলেন, সঠিকভাবে খেলাপিঋণ চিহ্নিত করতে হবে। আর্থিক খাতে পুনর্গঠনের জন্য করতে হবে রোডম্যাপ। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসনের প্রতিও জোর দেন আইএমএফের মিশন প্রধান।

জানা যায়, আইএমএফের শর্ত পূরণ করে ১৮ ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত দাতা সংস্থাতির লক্ষ্য ছিল ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়বে না: জ্বালানি উপদেষ্টা

আপডেট: ০৫:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না। তবে উৎপাদন খরচ কমিয়ে বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

উপদেষ্টা বলেন, দাম বৃদ্ধি করে বিদ্যুতের ভর্তুকির সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসবে সরকার। সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে খরচ কমানো হবে। এখন থেকে দাম বৃদ্ধির শুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না।

ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। বোর্ডে অনুমোদন হলে ১০ ফেব্রুয়ারি তা ছাড় করা হবে বলে জানা গেছে।

চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন, অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল  ঢাকা সফরে আসে। মিশন শেষে আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এসব তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে: অর্থ উপদেষ্টা

ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আইএমএফ। অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কারেই গুরুত্ব দিচ্ছে আইএমএফ। আর্থিকখাতের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে তিনি বলেন, সঠিকভাবে খেলাপিঋণ চিহ্নিত করতে হবে। আর্থিক খাতে পুনর্গঠনের জন্য করতে হবে রোডম্যাপ। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসনের প্রতিও জোর দেন আইএমএফের মিশন প্রধান।

জানা যায়, আইএমএফের শর্ত পূরণ করে ১৮ ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত দাতা সংস্থাতির লক্ষ্য ছিল ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

ঢাকা/এসএইচ