০১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি গায়েব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৬২ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় রোববার (৫ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আইনজীবীরা। নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, কে বা কারা ১ হাজার ৯১১ মামলার সিডি নিয়ে গেল বুঝতে পারছেন না।

গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিগুলো এত দিন বারান্দায় কেন রাখা হয়েছিল, প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘আমি কিছুদিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে।’

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি গায়েব

আপডেট: ১২:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় রোববার (৫ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আইনজীবীরা। নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, কে বা কারা ১ হাজার ৯১১ মামলার সিডি নিয়ে গেল বুঝতে পারছেন না।

গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিগুলো এত দিন বারান্দায় কেন রাখা হয়েছিল, প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘আমি কিছুদিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে।’

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

ঢাকা/এসএইচ