১১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে টাস্ক ফোর্সের কোন সম্পৃক্ততা নেই’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৪৬৭ বার দেখা হয়েছে

বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে টাস্ক ফোর্সের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, আমরা ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছি টাস্ক ফোর্সের কাজ বাজারে বিনিয়োগকারী এনে দেওয়া না। আমরা বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। আমরা বিগত কয়েক বছরের মতো অবস্থার যেন ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।

আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে মার্জিন রুলস-১৯৯৯ যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোংয়ের জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসারউদ্দীন এবং পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান, সিএফএ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, আমরা কাজের পেছনে লম্বা সময় নিয়েছি কারণ আমরা বাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বসেছি। আমরা প্রতিটা যায়গায় প্র্যাকটিশনারদের অংশগ্রহণ চেয়েছি। প্রতিটা যায়গায় আমরা ফোকাস গ্রুপ আর কনসালটেশন গ্রুপ করেছি। আমরা বাজারের সকল অংশিজনের সাথে বসে কাজ করেছি।

তিনি বলেন, মার্জিন নিয়ে আর গ্যামব্লিং করা হয়েছে। এভাবে বাজারে নেগেটিভ ইক্যুইটি তৈরি হয়েছে। এত পরিমাণ নেগেটিভ ইক্যুইটি না থাকলে বাজারের আজ এই পরিস্থিতি হতো না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, – অনেক স্টেক হোল্ডার দাবী করছেন তাদের সাথে বসা হয়নি। অথচ আমরা দেখলাম তাদের সাথে আমরা একাধিকবার বসে ফেলেছি। তবে কেন এরকম মিস কমিউনিকেশন। অংশিজনদের বাহিরেও যারা বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ তাদের সাথেও আমরা বসেছি।

আরও পড়ুন: তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ব্যাখ্যা দিলো আইসিবি

এরআগে গতকাল (২৭ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখের উপস্থিতিতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স সুপারিশমালা আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের কাছে হস্তান্তর করে।

২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারে আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স গঠন করে বিএসইসি। পরবর্তীতে টাস্কফোর্সের পরামর্শে এবং তাদের কাজের সহযোগিতার জন্য পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’ গঠন করা হয়।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স কমিশনের কাছে মার্জিন রুলস-১৯৯৯ যুগোপযোগী করার খসড়া সুপারিশ জমা দিয়েছিল। ওই খসড়া সুপারিশের ওপর সংশ্লিষ্ট সবার মতামত আহ্বান করা হয়। মতামত বিবেচনায় নিয়েই পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স চূড়ান্ত সুপারিশ প্রস্তুত করেছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

‘বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে টাস্ক ফোর্সের কোন সম্পৃক্ততা নেই’

আপডেট: ০৭:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে টাস্ক ফোর্সের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, আমরা ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছি টাস্ক ফোর্সের কাজ বাজারে বিনিয়োগকারী এনে দেওয়া না। আমরা বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। আমরা বিগত কয়েক বছরের মতো অবস্থার যেন ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।

আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে মার্জিন রুলস-১৯৯৯ যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোংয়ের জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসারউদ্দীন এবং পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান, সিএফএ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, আমরা কাজের পেছনে লম্বা সময় নিয়েছি কারণ আমরা বাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বসেছি। আমরা প্রতিটা যায়গায় প্র্যাকটিশনারদের অংশগ্রহণ চেয়েছি। প্রতিটা যায়গায় আমরা ফোকাস গ্রুপ আর কনসালটেশন গ্রুপ করেছি। আমরা বাজারের সকল অংশিজনের সাথে বসে কাজ করেছি।

তিনি বলেন, মার্জিন নিয়ে আর গ্যামব্লিং করা হয়েছে। এভাবে বাজারে নেগেটিভ ইক্যুইটি তৈরি হয়েছে। এত পরিমাণ নেগেটিভ ইক্যুইটি না থাকলে বাজারের আজ এই পরিস্থিতি হতো না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, – অনেক স্টেক হোল্ডার দাবী করছেন তাদের সাথে বসা হয়নি। অথচ আমরা দেখলাম তাদের সাথে আমরা একাধিকবার বসে ফেলেছি। তবে কেন এরকম মিস কমিউনিকেশন। অংশিজনদের বাহিরেও যারা বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ তাদের সাথেও আমরা বসেছি।

আরও পড়ুন: তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ব্যাখ্যা দিলো আইসিবি

এরআগে গতকাল (২৭ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখের উপস্থিতিতে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স সুপারিশমালা আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের কাছে হস্তান্তর করে।

২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারে আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স গঠন করে বিএসইসি। পরবর্তীতে টাস্কফোর্সের পরামর্শে এবং তাদের কাজের সহযোগিতার জন্য পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’ গঠন করা হয়।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স কমিশনের কাছে মার্জিন রুলস-১৯৯৯ যুগোপযোগী করার খসড়া সুপারিশ জমা দিয়েছিল। ওই খসড়া সুপারিশের ওপর সংশ্লিষ্ট সবার মতামত আহ্বান করা হয়। মতামত বিবেচনায় নিয়েই পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স চূড়ান্ত সুপারিশ প্রস্তুত করেছে।

ঢাকা/এসএইচ