০৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / ১০৩৯৩ বার দেখা হয়েছে

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বোনা কাপড়, পাট ও সুতার পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে এই নিষেধাজ্ঞা ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে পাঠানো বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজনার কথা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে স্থলবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য আমদানি করা যাবে না। শুধুমাত্র নাভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে নির্দিষ্ট পণ্যগুলো আমদানির অনুমতি থাকবে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে—পাটজাত পণ্য, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, পাটের একক সুতা এবং ব্লিচ না করা পাটের কাপড়।

ভারত আরও জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা নেপাল ও ভুটান হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রযোজ্য নয়। তবে এসব দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্য পুনরায় ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না।

এর আগে গত ১৭ মে ভারত স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীসহ বেশ কিছু পণ্যের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। একই নীতির অংশ হিসেবে এবার নতুন পণ্যতালিকায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন: এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা

নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী, তুলা ও সুতির সুতার বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত রঙিন পদার্থ ও প্লাস্টিসাইজার, কাঠের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য নির্দিষ্ট পণ্য আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

তবে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং চূর্ণী পাথরের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট: ১১:২৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বোনা কাপড়, পাট ও সুতার পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে এই নিষেধাজ্ঞা ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে পাঠানো বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজনার কথা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে স্থলবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য আমদানি করা যাবে না। শুধুমাত্র নাভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে নির্দিষ্ট পণ্যগুলো আমদানির অনুমতি থাকবে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে—পাটজাত পণ্য, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, পাটের একক সুতা এবং ব্লিচ না করা পাটের কাপড়।

ভারত আরও জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা নেপাল ও ভুটান হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রযোজ্য নয়। তবে এসব দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্য পুনরায় ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না।

এর আগে গত ১৭ মে ভারত স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীসহ বেশ কিছু পণ্যের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। একই নীতির অংশ হিসেবে এবার নতুন পণ্যতালিকায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন: এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা

নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী, তুলা ও সুতির সুতার বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত রঙিন পদার্থ ও প্লাস্টিসাইজার, কাঠের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য নির্দিষ্ট পণ্য আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

তবে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং চূর্ণী পাথরের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

ঢাকা/এসএইচ