১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশেষায়িত অঞ্চলের রপ্তানিকারকদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা রাখার নিয়ম শিথিল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০২৯৮ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিশেষায়িত অঞ্চল যেমন ইপিজেড, পিইপিজেড, ইকোনমিক জোন ও হাইটেক পার্কে থাকা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) সংরক্ষণের নিয়ম আরও সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ রোববার (১০ আগস্ট) জারি করা এক সার্কুলারে জানানো হয়, এখন থেকে এসব অঞ্চলের টাইপ বি ও টাইপ সি কারখানাগুলো রপ্তানি করে যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে, তা ব্যাক-টু-ব্যাক আমদানি দায় পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ডলার হিসাবেই রাখতে পারবে।

এই ডলারের মধ্যে দুটি অংশ থাকবে—একটি অংশ ব্যাক-টু-ব্যাক আমদানির জন্য, আরেকটি অংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে যেটুকু মূল্য সংযোজন হয়েছে। স্থানীয় মূল্য সংযোজনের অংশ সর্বোচ্চ ৩০ দিন ডলার হিসেবে রাখা যাবে। এই সময়ের মধ্যে যদি টাকা খরচ না হয়, তাহলে অন্য ব্যাংকে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আমদানি দায় মেটানো যাবে। ৩০ দিন পর অব্যবহৃত ডলার টাকা হিসেবে রূপান্তর (নগদায়ন) করতে হবে। রপ্তানি আয়ের মোট ২০ শতাংশ (গার্মেন্টস খাতে ২৫ শতাংশ) রূপান্তর করার পর বাকি ডলার রপ্তানিকারকের নিজস্ব বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে রাখা যাবে।

আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিনে অর্থনীতি বিপর্যয়মুক্ত: সিপিডি

যেসব রপ্তানিকারক ব্যাক-টু-ব্যাক পদ্ধতি ব্যবহার করেন না, তারাও প্রয়োজনীয় খরচের জন্য ৩০ দিন পর্যন্ত ডলার রাখতে পারবেন। এরপর অব্যবহৃত অংশ একই নিয়মে রূপান্তর করতে হবে।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকরা সহজে লেনদেন করতে পারবে, ডলার ব্যবস্থাপনাও আরও কার্যকর হবে। পাশাপাশি বিশেষায়িত ও সাধারণ অঞ্চলের রপ্তানিকারকদের মধ্যে সমতা আসবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

বিশেষায়িত অঞ্চলের রপ্তানিকারকদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা রাখার নিয়ম শিথিল

আপডেট: ০৬:২১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

বিশেষায়িত অঞ্চল যেমন ইপিজেড, পিইপিজেড, ইকোনমিক জোন ও হাইটেক পার্কে থাকা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) সংরক্ষণের নিয়ম আরও সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ রোববার (১০ আগস্ট) জারি করা এক সার্কুলারে জানানো হয়, এখন থেকে এসব অঞ্চলের টাইপ বি ও টাইপ সি কারখানাগুলো রপ্তানি করে যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে, তা ব্যাক-টু-ব্যাক আমদানি দায় পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ডলার হিসাবেই রাখতে পারবে।

এই ডলারের মধ্যে দুটি অংশ থাকবে—একটি অংশ ব্যাক-টু-ব্যাক আমদানির জন্য, আরেকটি অংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে যেটুকু মূল্য সংযোজন হয়েছে। স্থানীয় মূল্য সংযোজনের অংশ সর্বোচ্চ ৩০ দিন ডলার হিসেবে রাখা যাবে। এই সময়ের মধ্যে যদি টাকা খরচ না হয়, তাহলে অন্য ব্যাংকে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আমদানি দায় মেটানো যাবে। ৩০ দিন পর অব্যবহৃত ডলার টাকা হিসেবে রূপান্তর (নগদায়ন) করতে হবে। রপ্তানি আয়ের মোট ২০ শতাংশ (গার্মেন্টস খাতে ২৫ শতাংশ) রূপান্তর করার পর বাকি ডলার রপ্তানিকারকের নিজস্ব বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে রাখা যাবে।

আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিনে অর্থনীতি বিপর্যয়মুক্ত: সিপিডি

যেসব রপ্তানিকারক ব্যাক-টু-ব্যাক পদ্ধতি ব্যবহার করেন না, তারাও প্রয়োজনীয় খরচের জন্য ৩০ দিন পর্যন্ত ডলার রাখতে পারবেন। এরপর অব্যবহৃত অংশ একই নিয়মে রূপান্তর করতে হবে।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকরা সহজে লেনদেন করতে পারবে, ডলার ব্যবস্থাপনাও আরও কার্যকর হবে। পাশাপাশি বিশেষায়িত ও সাধারণ অঞ্চলের রপ্তানিকারকদের মধ্যে সমতা আসবে।

ঢাকা/এসএইচ