পূবালী ব্যাংকে ৬৬ বছর আগের বিনিয়োগ ফেরত চায় সোনালী ব্যাংক
- আপডেট: ০২:১৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
- / ১০২৭৭ বার দেখা হয়েছে
প্রায় ৬৬ বছর আগে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের (পরে পূবালী ব্যাংক) ৩৮ হাজার ৩৩৫টি শেয়ার কিনেছিল ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (পরে সোনালী ব্যাংক)। সোনালী ব্যাংক ওই বিনিয়োগ ফেরত চায়। এ বিষয়ে কয়েক বছর ধরে চিঠি চালাচালি এবং বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি বিনিয়োগ ফেরত পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে আরেক দফা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি দিয়েছে সোনালী ব্যাংক।
অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ১৯৫৯ সালে পূবালী ব্যাংকের ৩৮ হাজার ৩৩৫টি শেয়ার কেনে সোনালী ব্যাংক। ১৯৬৮, ৬৯ ও ৭০ সালে বোনাসসহ শেয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১ হাজার ২২টি। তখনকার প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হিসাবে এসব শেয়ারের মূল্য ছিল পাঁচ লাখ ১০ হাজার ২২০ টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার পূবালী ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ারের দাম ২৭ টাকা ৪০ পয়সা। সে হিসাবে ৫১ হাজার ২২টি শেয়ারের দাম দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ টাকা।
দেশ স্বাধীনের পর ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে পূবালী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের নাম হয় সোনালী ব্যাংক। দুটিকেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক করা হয়। ১৯৮৩ সালে পূবালী ব্যাংককে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন ভেন্ডর এগ্রিমেন্টের আওতায় শেয়ারের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেয়ারধারীদের আবেদন করার অনুরোধ করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে শেয়ারধারীদের শেয়ার ফেরত দেওয়া হলেও কোনো কারণে সোনালী ব্যাংক তা ফেরত পায়নি।
সোনালী ব্যাংক তাদের শেয়ারের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পূবালী ব্যাংকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হয়েছে। অংশীজন নিয়ে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে বৈঠক করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব (ব্যাংকিং) আমিনুর রহমান। ওই সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জানান, এ জাতীয় দাবি কখনও বিলুপ্ত হয় না। পূবালী ব্যাংক যদি এ দাবি পরিশোধ না করে তাহলে এর দায় সরকারের ওপর বর্তাবে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুল হকের সভাপতিত্বে আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেশ কয়েক দফা সভা ও চিঠি চালাচালি হলেও শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি। সোনালী ব্যাংক জানিয়েছে, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে পূবালী ব্যাংকে চিঠি দিলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৮৩ সালে বেসরকারীকরণের সময় ভেন্ডর এগ্রিমেন্টের আওতায় শেয়ার ফেরত দেওয়ার জন্য শেয়ারধারীদের আবেদন করার অনুরোধ করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে শেয়ারধারীদের তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার কথা। বর্তমানে পূবালী ব্যাংকের ব্যালান্স শিটেও সোনালী ব্যাংকের শেয়ার বিনিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ নেই।
ঢাকা/এসএইচ



































