০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অ্যালার্জি থেকে বাড়ে ব্লাড প্রেসার, দাবি গবেষণায়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ১০৪৭০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অ্যালার্জিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এবার নতুন একটি গবেষণা বলছে, অ্যালার্জিতে আক্রান্তদের ব্লাড প্রেসার ও হৃদরোগের আশঙ্কা বেশি। গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে সোসাইটি অব কার্ডিওলজি জার্নালে। গবেষণার কাজে ৩৪ হাজার ৪১৭ জন প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য যাচাই করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই গবেষণার মুখ্য গবেষক ইয়াং গুও বলেন, অ্যালার্জিতে ভোগা মানুষের নিয়মিত ব্লাড প্রেসার ও হৃদরোগ রয়েছে কিনা দেখা উচিত। তাই কোনও সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই সেরে ফেলতে হবে চিকিৎসা। তবেই মানুষগুলো ভালো থাকবেন। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন গবেষণা দেখিয়েছে যে অ্যালার্জির সঙ্গে প্রেশার ও হৃদরোগের একটা ভূমিকা রয়েছে। যদিও সেই গবেষণা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমন আমল পায়নি। 

গুও আরও বলেছেন, এই গবেষণায় দেখার চেষ্টা করা হয় যে অ্যালার্জির সঙ্গে আদৌ কি হৃদরোগের কোনও ভূমিকা রয়েছে। এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয় ২০১২ সালের ন্যাশনাল হেলথ ইন্টারভিউ সার্ভের (NHIS) এর তথ্য। 

এই সমীক্ষা আমেরিকার বিভিন্ন জাতীর উপর করা হয়। এক্ষেত্রে অ্যাজমা থেকে শুরু করে, রেসপিরেটরি অ্যালার্জি, ডায়জেস্টিভ অ্যালার্জি, স্কিন অ্যালার্জি ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত মানুষদের বেছে নেওয়া হয় গবেষণার জন্য।

এই গবেষণায় ৩৪ হাজার ৪১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তথ্য নেওয়া হয়। এই মানুষগুলির গড় বয়স ছিল ৪৮.৫ বছর। এই গবেষণায় বয়স, লিঙ্গ, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি বিষয়গুলোকেও মাথায় রাখা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, অ্যালার্জি থাকলে করোনারি আর্টারি ডিজিজ ও ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তথ্য আরও বিশ্লেষণ করে জানানো হয়, অ্যালার্জি থাকা ১৮ থেকে ৫৭ বছর বয়সি মানুষের ব্লাড প্রেশারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।

অপরদিকে ৩৯ থেকে ৫৭ বছরের মানুষদের করোনারি আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এক্ষেত্রে আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই অ্যালার্জি থাকলে এখন থেকেই অত্যন্ত সতর্ক হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে রোগ কোনওভাবেই ফেলে রাখা যাবে না। বরং আপনাকে রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

অ্যালার্জি থেকে বাড়ে ব্লাড প্রেসার, দাবি গবেষণায়

আপডেট: ০৭:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অ্যালার্জিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এবার নতুন একটি গবেষণা বলছে, অ্যালার্জিতে আক্রান্তদের ব্লাড প্রেসার ও হৃদরোগের আশঙ্কা বেশি। গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে সোসাইটি অব কার্ডিওলজি জার্নালে। গবেষণার কাজে ৩৪ হাজার ৪১৭ জন প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য যাচাই করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই গবেষণার মুখ্য গবেষক ইয়াং গুও বলেন, অ্যালার্জিতে ভোগা মানুষের নিয়মিত ব্লাড প্রেসার ও হৃদরোগ রয়েছে কিনা দেখা উচিত। তাই কোনও সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই সেরে ফেলতে হবে চিকিৎসা। তবেই মানুষগুলো ভালো থাকবেন। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন গবেষণা দেখিয়েছে যে অ্যালার্জির সঙ্গে প্রেশার ও হৃদরোগের একটা ভূমিকা রয়েছে। যদিও সেই গবেষণা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমন আমল পায়নি। 

গুও আরও বলেছেন, এই গবেষণায় দেখার চেষ্টা করা হয় যে অ্যালার্জির সঙ্গে আদৌ কি হৃদরোগের কোনও ভূমিকা রয়েছে। এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয় ২০১২ সালের ন্যাশনাল হেলথ ইন্টারভিউ সার্ভের (NHIS) এর তথ্য। 

এই সমীক্ষা আমেরিকার বিভিন্ন জাতীর উপর করা হয়। এক্ষেত্রে অ্যাজমা থেকে শুরু করে, রেসপিরেটরি অ্যালার্জি, ডায়জেস্টিভ অ্যালার্জি, স্কিন অ্যালার্জি ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত মানুষদের বেছে নেওয়া হয় গবেষণার জন্য।

এই গবেষণায় ৩৪ হাজার ৪১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তথ্য নেওয়া হয়। এই মানুষগুলির গড় বয়স ছিল ৪৮.৫ বছর। এই গবেষণায় বয়স, লিঙ্গ, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি বিষয়গুলোকেও মাথায় রাখা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, অ্যালার্জি থাকলে করোনারি আর্টারি ডিজিজ ও ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তথ্য আরও বিশ্লেষণ করে জানানো হয়, অ্যালার্জি থাকা ১৮ থেকে ৫৭ বছর বয়সি মানুষের ব্লাড প্রেশারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।

অপরদিকে ৩৯ থেকে ৫৭ বছরের মানুষদের করোনারি আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এক্ষেত্রে আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই অ্যালার্জি থাকলে এখন থেকেই অত্যন্ত সতর্ক হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে রোগ কোনওভাবেই ফেলে রাখা যাবে না। বরং আপনাকে রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

ঢাকা/এসএম