০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঈদের পর ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
  • / ১০৪৬০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১২-১৪ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ দুটিই কমেছে। এ সময় ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক লেনদেন কমেছে ৪৮ শতাংশের বেশি। পাশাপাশি সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। তিন কার্যদিবস লেনদেনের পর সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকায়। সেই হিসাবে তিনদিনের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির মূলধন কমেছে ২ হাজার ৮১২ কোটি টাকা বা দশমিক ৫৪ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির লেনদেন কমেছে ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। টাকার অংকে যার পরিমাণ ১ হাজার ৮৫১ কোটি।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ২৩৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৯টির। লেনদেন হয়নি ৮টির।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সূচকের পতনে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, রবি আজিয়াটা, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আইএফআইসি ব্যাংক ও জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের শেয়ারের।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত সপ্তাহ শেষে সূচকটি কমে ২ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস আগের সপ্তাহের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। ৯ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ে লেনদেনের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ৯ দশমিক ১ শতাংশ দখলে নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ৭ দশমিক ১ শতাংশ নিয়ে মোট লেনদেনের ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। এছাড়া পরের অবস্থানে থাকা জীবন বীমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, চামড়া এবং তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের দখলে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৫ দশমিক ৪, ৫ দশমিক ২ ও ৫ শতাংশ লেনদেন ছিল গত সপ্তাহে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল সিরামিক খাতে, ২ দশমিক ৭ শতাংশ। ২ দশমিক ৪ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা তথ্য ও প্রযুক্তি খাত থেকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২ দশমিক ৩ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। নেতিবাচক রিটার্ন দেয়া খাতের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাত। খাতটি থেকে গত সপ্তাহে ১ দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে পাট খাত থেকে, ১ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত থেকে দশমিক ৫ শতাংশ এবং বস্ত্র খাত থেকে দশমিক ১ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে গত সপ্তাহে।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৮ হাজার ৭৫২ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ১১ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে ৬১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে লেনদেন ছিল প্রায় ১৪১ কোটি টাকা। এ সময়ে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ২১০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির সিকিউরিটিজের।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

ঈদের পর ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ১১:৫৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১২-১৪ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ দুটিই কমেছে। এ সময় ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক লেনদেন কমেছে ৪৮ শতাংশের বেশি। পাশাপাশি সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। তিন কার্যদিবস লেনদেনের পর সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকায়। সেই হিসাবে তিনদিনের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির মূলধন কমেছে ২ হাজার ৮১২ কোটি টাকা বা দশমিক ৫৪ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির লেনদেন কমেছে ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। টাকার অংকে যার পরিমাণ ১ হাজার ৮৫১ কোটি।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ২৩৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৯টির। লেনদেন হয়নি ৮টির।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সূচকের পতনে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, রবি আজিয়াটা, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আইএফআইসি ব্যাংক ও জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের শেয়ারের।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত সপ্তাহ শেষে সূচকটি কমে ২ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস আগের সপ্তাহের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। ৯ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ে লেনদেনের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ৯ দশমিক ১ শতাংশ দখলে নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ৭ দশমিক ১ শতাংশ নিয়ে মোট লেনদেনের ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। এছাড়া পরের অবস্থানে থাকা জীবন বীমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, চামড়া এবং তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের দখলে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৫ দশমিক ৪, ৫ দশমিক ২ ও ৫ শতাংশ লেনদেন ছিল গত সপ্তাহে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল সিরামিক খাতে, ২ দশমিক ৭ শতাংশ। ২ দশমিক ৪ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা তথ্য ও প্রযুক্তি খাত থেকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২ দশমিক ৩ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। নেতিবাচক রিটার্ন দেয়া খাতের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাত। খাতটি থেকে গত সপ্তাহে ১ দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে পাট খাত থেকে, ১ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত থেকে দশমিক ৫ শতাংশ এবং বস্ত্র খাত থেকে দশমিক ১ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে গত সপ্তাহে।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৮ হাজার ৭৫২ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ১১ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে ৬১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে লেনদেন ছিল প্রায় ১৪১ কোটি টাকা। এ সময়ে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ২১০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির সিকিউরিটিজের।

ঢাকা/টিএ