০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বন্ডে বিনিয়োগে প্রবাসী বাঙালিদের লাগবে না এনআইডি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ১০৪০০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বন্ডে বিনিয়োগে প্রবাসী বাঙালিদের এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লাগবে না। তবে তাদের বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট নম্বর হবে বন্ড কেনার ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নম্বর। এতদিন এনআইডি ছাড়া বন্ড কিনতে পারতেন না প্রবাসীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা ব্যাংকগুলোকে জানিয়েছে। ব্যাংকগুলো যাতে প্রবাসীদের এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট নম্বর নিয়ে বন্ড বিক্রি করে, সে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে এসব বন্ড কিনতে পারবেন প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের জন্য ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার বন্ড- এ তিন ধরনের সঞ্চয় বন্ড রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে এ তিনটি বন্ডের লেনদেন অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ওই সময় এসব বন্ডে বিনিয়োগ করতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করা হয়।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে প্রবাসীরা নিজ নামের পাশাপাশি দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের নামেও বিনিয়োগ করতে পারেন। আর বাকি দুটিতে প্রবাসীরা শুধু নিজ নামে বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগ করতে পারেন। এসব বন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিস এবং বিদেশে বাংলাদেশি ব্যাংকের শাখা, এক্সচেঞ্জ হাউস, এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংক শাখা থেকে বেচাকেনা হয়ে আসছে।

আরও পড়ুনঃ ডিএসই’র লেনদেন বন্ধের কারণ অনুসন্ধানে বিএসইসির তদন্ত কমিটি

জানা গেছে, সুদহার কমানোসহ বিভিন্ন ধরনের শর্তের কারণে প্রবাসীদের বন্ডে বিনিয়োগ কমছে। ফলে চলমান ডলার সংকটের মধ্যে বন্ড বিক্রি থেকে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসত, তা-ও কমেছে। বন্ড বিক্রির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে সরকার বিক্রির শর্ত শিথিল করল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এ দুই ধরনের প্রবাসী বন্ড বিক্রি হয়েছে ৮১ কোটি টাকার। একই সময়ে ভাঙানো হয়েছে ১৩৭ কোটি টাকা। ফলে প্রবাসী এ দুই বন্ডে সরকারের নিট ঋণ কমেছে ৫৬ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বর্তমানে তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে সুদহার ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ, ১ লাখের বেশি থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ৪ শতাংশ এবং এর বেশি হলে ৩ শতাংশ। আগে সব ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ সুদ পাওয়া যেত। তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে আগে সাড়ে ৭ শতাংশ সুদ পাওয়া যেত। এখন ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সাড়ে ৫ শতাংশ, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সাড়ে ৪ শতাংশ এবং এর বেশি হলে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদ পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

বন্ডে বিনিয়োগে প্রবাসী বাঙালিদের লাগবে না এনআইডি

আপডেট: ০৯:১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বন্ডে বিনিয়োগে প্রবাসী বাঙালিদের এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লাগবে না। তবে তাদের বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট নম্বর হবে বন্ড কেনার ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নম্বর। এতদিন এনআইডি ছাড়া বন্ড কিনতে পারতেন না প্রবাসীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা ব্যাংকগুলোকে জানিয়েছে। ব্যাংকগুলো যাতে প্রবাসীদের এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট নম্বর নিয়ে বন্ড বিক্রি করে, সে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে এসব বন্ড কিনতে পারবেন প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের জন্য ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার বন্ড- এ তিন ধরনের সঞ্চয় বন্ড রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে এ তিনটি বন্ডের লেনদেন অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ওই সময় এসব বন্ডে বিনিয়োগ করতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করা হয়।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে প্রবাসীরা নিজ নামের পাশাপাশি দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের নামেও বিনিয়োগ করতে পারেন। আর বাকি দুটিতে প্রবাসীরা শুধু নিজ নামে বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগ করতে পারেন। এসব বন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিস এবং বিদেশে বাংলাদেশি ব্যাংকের শাখা, এক্সচেঞ্জ হাউস, এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংক শাখা থেকে বেচাকেনা হয়ে আসছে।

আরও পড়ুনঃ ডিএসই’র লেনদেন বন্ধের কারণ অনুসন্ধানে বিএসইসির তদন্ত কমিটি

জানা গেছে, সুদহার কমানোসহ বিভিন্ন ধরনের শর্তের কারণে প্রবাসীদের বন্ডে বিনিয়োগ কমছে। ফলে চলমান ডলার সংকটের মধ্যে বন্ড বিক্রি থেকে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসত, তা-ও কমেছে। বন্ড বিক্রির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে সরকার বিক্রির শর্ত শিথিল করল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এ দুই ধরনের প্রবাসী বন্ড বিক্রি হয়েছে ৮১ কোটি টাকার। একই সময়ে ভাঙানো হয়েছে ১৩৭ কোটি টাকা। ফলে প্রবাসী এ দুই বন্ডে সরকারের নিট ঋণ কমেছে ৫৬ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বর্তমানে তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে সুদহার ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ, ১ লাখের বেশি থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ৪ শতাংশ এবং এর বেশি হলে ৩ শতাংশ। আগে সব ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ সুদ পাওয়া যেত। তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে আগে সাড়ে ৭ শতাংশ সুদ পাওয়া যেত। এখন ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সাড়ে ৫ শতাংশ, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সাড়ে ৪ শতাংশ এবং এর বেশি হলে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদ পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকা/এসআর