পোশাক রফতানি বেড়েছে ১৬ শতাংশ

- আপডেট: ১১:১৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১০৩৭০ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রফতানিতে আবারও রেকর্ড হলো, গত ৫ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি থেকেই এসেছে এক হাজার ৮৩৪ কোটি ডলার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের রফতানির তথ্য প্রকাশ করেছে।প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮৩৪ কোটি মার্কিন ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫.৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, নিটওয়্যারের রফতানির পরিমাণ ছিল ১০১১ কোটি মার্কিন ডলার, যেখানে ওভেন পোশাক থেকে রফতানি আয় ৮২১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরেরে একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১২.৫৫ শতাংশ এবং ১৯.৬১ শতাংশ। একক মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশের তৈরি পোশাক রফতানি ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের ৩২৩ কোটি মার্কিন ডলার থেকে ২০২২ সালের একই মাসে ৩৫.৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩৭ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এদিকে তৈরি পোশাকের ওপর ভর করে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রফতানি আয় ৫শ’ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যা স্বাধীনতার পর এই প্রথম বলে জানিয়েছে ইপিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র। স্থগিত থাকা রফতানি আদেশ আসতে শুরু করা এবং আগের বানানো পোশাক ক্রেতারা নিতে শুরু করার পাশাপাশি, কাঁচামালের বর্ধিত মূল্যের কারণে নভেম্বরে রফতানিতে এ প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন রফতানিকারক ও ইপিবির সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে চলতি বছরের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় হয়েছিল যথাক্রমে ৪৩৬ কোটি ডলার এবং ৩৯১ কোটি ডলার। অপরদিকে গত কয়েক মাস রফতানির গতিতে কিছুটা ভাটা থাকলেও অক্টোবরের পর নভেম্বরেও পজিটিভ গ্রোথ হওয়ায় সার্বিকভাবে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ।
ইপিবি’র প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, গত নভেম্বরে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৫০৯ কোটি ডলারের পণ্য, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।
সাম্প্রতিক বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বাণিজ্য পরিসংখ্যান পর্যালোচনা অনুসারে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানি বাজারে বাংলাদেশ আবারও দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ছিল তৃতীয় অবস্থানে, সেবার বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে দেয় ভিয়েতনাম।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮২ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। সর্বশেষ ডব্লিউটিও’র বাণিজ্য পরিসংখ্যান পর্যালোচনা অনুসারে, ২০২১ সালে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক রফতানির ৮ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে, যার মূল্য ৩৫৮ কোটিন ডলার।
আরও পড়ুন: ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিবে বিশ্বব্যাংক
তৈরি পোশাক রফতানিতে ভিয়েতনামের অংশ ২০২০ সালের ৬.৪ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ৫.৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানির বাজারে ৩.৫ শতাংশ তুর্কিয়ের, ভারতের ৩ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ২.৭ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার রয়েছে ১.৭ শতাংশ। এ বাজারের সর্বোচ্চ ৩২.৮ শতাংশের দখলের রয়েছে চীন, যার মূল্য ১৭৬ কোটি ডলার। তবে দেশে পোশাক রফতানি খাতের বাইরে অন্যান্য অনেক খাত চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রত্যাশিত রফতানি আয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
ইপিবি সূত্র বলছে, গত পাঁচ মাসে পোশাক রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হলেও ফ্রোজেন এবং কাঁচা মাছ, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, স্পেশালাইজড টেক্সটাইল, হোম টেক্সটাইলসহ বেশ কিছু পণ্যের রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং প্লাস্টিকসহ কয়েকটি পণ্যের রফতানি এ সময়ে বেড়েছে।
ঢাকা/এসএ