০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাজারভিত্তিক সুদহার চালুর বিষয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ১০৩৯৪ বার দেখা হয়েছে

পরবর্তী মুদ্রানীতিতে বাজারভিত্তিক সুদহার চালুর বিষয়ে ঘোষণা আসবে। একই সঙ্গে মুদ্রার একক বিনিময় হার চালুর দিকেও যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার (৭ মে) আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব সব কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশের জন্য গত জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের শেষ দিকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য আইএমএফের শর্ত কতটুকু বাস্তবায়ন বা অগ্রগতি হয়েছে তা দেখতে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে। আইএমএফ দলটি মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে।

মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে ডলারের একাধিক বিনিময় হার আছে। এগুলোর মধ্যে ব্যবধান ২ শতাংশের মধ্যে এলেই বলা যাবে যে, মুদ্রার একক বিনিময় হার। এটি প্রায় অর্জিত হয়েছে। তবে আরও বেশি সীমার মধ্যে আনার চেষ্টা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। তিনি যেসব দেশে গেছেন সেসব দেশে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। এ সফর আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। তার সফরের পর রিজার্ভ আরও বাড়বে। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ এখন রিজার্ভ ধরে রাখা। আমাদের পেমেন্ট আছে, আকুর দায় পরিশোধ হয়েছে। এসব কারণে রিজার্ভ কমছে। এর মাঝে আরও অর্থ সমন্বয় (রপ্তানি আয়, রিজার্ভ) হবে। রিজার্ভ কমছে এটা ঠিক, আবার বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, অনুমোদন করা ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির বিষয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। আইএমএফের আগামী সফরের পরে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: বাজেট আলোচনার সময় ও পরিধি বাড়ানো উচিত: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির পর চরম আকারের ডলার সংকটে পড়ে দেশ। যদিও ডলার সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবুও রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে না। বরং আমদানি বিল পরিশোধে প্রতিনিয়তই রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন দেশের রিজার্ভ ৩০.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরই মধ্যে চলতি মাসে ১ বিলিয়নের বেশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক রোববার বন্ধ থাকায় হিসাব সমন্বয়ক দেশের রিজার্ভ থেকে এ হিসাব সমন্বয় হয়নি। তবে হিসাব সমন্বয় হলে অর্থাৎ আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

বাজারভিত্তিক সুদহার চালুর বিষয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট: ০৮:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

পরবর্তী মুদ্রানীতিতে বাজারভিত্তিক সুদহার চালুর বিষয়ে ঘোষণা আসবে। একই সঙ্গে মুদ্রার একক বিনিময় হার চালুর দিকেও যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার (৭ মে) আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব সব কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশের জন্য গত জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের শেষ দিকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য আইএমএফের শর্ত কতটুকু বাস্তবায়ন বা অগ্রগতি হয়েছে তা দেখতে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে। আইএমএফ দলটি মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে।

মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে ডলারের একাধিক বিনিময় হার আছে। এগুলোর মধ্যে ব্যবধান ২ শতাংশের মধ্যে এলেই বলা যাবে যে, মুদ্রার একক বিনিময় হার। এটি প্রায় অর্জিত হয়েছে। তবে আরও বেশি সীমার মধ্যে আনার চেষ্টা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। তিনি যেসব দেশে গেছেন সেসব দেশে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। এ সফর আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। তার সফরের পর রিজার্ভ আরও বাড়বে। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ এখন রিজার্ভ ধরে রাখা। আমাদের পেমেন্ট আছে, আকুর দায় পরিশোধ হয়েছে। এসব কারণে রিজার্ভ কমছে। এর মাঝে আরও অর্থ সমন্বয় (রপ্তানি আয়, রিজার্ভ) হবে। রিজার্ভ কমছে এটা ঠিক, আবার বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, অনুমোদন করা ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির বিষয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। আইএমএফের আগামী সফরের পরে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: বাজেট আলোচনার সময় ও পরিধি বাড়ানো উচিত: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির পর চরম আকারের ডলার সংকটে পড়ে দেশ। যদিও ডলার সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবুও রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে না। বরং আমদানি বিল পরিশোধে প্রতিনিয়তই রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন দেশের রিজার্ভ ৩০.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরই মধ্যে চলতি মাসে ১ বিলিয়নের বেশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক রোববার বন্ধ থাকায় হিসাব সমন্বয়ক দেশের রিজার্ভ থেকে এ হিসাব সমন্বয় হয়নি। তবে হিসাব সমন্বয় হলে অর্থাৎ আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

ঢাকা/এসএ