চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা মোট

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের রেকর্ড গড়েছে গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে। বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে খেলাপি ঋণের আসল চিত্র বেরিয়ে

২০২৪ সালের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ব্যাংক খাতে ২০ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে

রূপালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেছেন, ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে খেলাপি ঋণ আদায়ের বিকল্প নেই। শাখা

ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ যেমন বাড়ছে, তেমনি এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আদায় অযোগ্য কুঋণ বা মন্দ ঋণ। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুরবস্থা কাটছে না। উপরন্তু দিন দিন খেলাপি ঋণ বাড়ছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়ে

দেশে খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই ১০টি ব্যাংকে। তিন মাস আগেও যা ছিল ৫১ শতাংশের মত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি

খেলাপি হলেও বিশেষ বিবেচনায় নিয়মিত দেখানোর যে সুযোগ ছিল, তা অবশেষে বন্ধ হচ্ছে। আগামী এপ্রিল থেকে চলতি বা মেয়াদি সব

সুশাসনের অভাব, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে খেলাপি ঋণে জর্জরিত বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে।

গত ৭ বছরে দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে তিনগুণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র ধরা

রিট করে খেলাপি ঋণ স্থগিত রাখার যে প্রবণতা চালু আছে এই সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা

ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আর্থিক খাত বিষয়ে অভিজ্ঞ ছয়জনকে সদস্য করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, ডাচ্ বাংলা

ব্যাংক খাতের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে খেলাপি ঋণ। খেলাপিদের নানা সুবিধা দিয়েও এই সূচকের লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

‘অর্থনীতির গলার কাঁটা’ ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ

খেলাপি ঋণ মডেলই এখন দেশের জন্য একটা বিজনেস মডেল হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন

দেশের ব্যাংক খাতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। এর জন্য ঋণ গ্রহীতাদের যোগ্যতা যাছাইয়ে ব্যাংকের দুর্বলতাকেই দায়ী করা হয়ে

ব্যাংক খাতে নানা অনিয়ম, দিন দিন খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, একের পর এক ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে কিছু ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি দুর্বল

২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। খেলাপি

রাজধানীর মতিঝিলে পাচার হওয়া টাকা এবং খেলাপি ঋণ আদায় ও দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গেট বন্ধ করে

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। কিন্তু ব্যাংকের পরিচালন ব্যয়, ঋণের বিপরীতে

চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল জুড়ে আলোচনায় ছিল রিজার্ভ-সংকট। ডলার সংকটে ব্যবসায়ীদের ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে পরতে হয়েছে বিড়ম্বনায়। ব্যাংক

খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, পুনঃতফসিল করেও অর্থ আদায় করতে দেরি হওয়ায় এর বিপরীতে মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষণ করা ও

সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শেষে ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৪৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। গত ২০২১-২০২২

লাগামহীন ভাবে বাড়ছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণের পরিমাণ। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৩ হাজার ৮০৪ কোটি

চলতি মার্চ শেষে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বর

দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া এই সমস্যার সমাধান

বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করলে প্রতিদিন এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ব্যাংক কোম্পানি সংশোধন আইন, ২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত