০২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সন্তান কারও সঙ্গে মিশতে চায় না?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
  • / ১০৩৩২ বার দেখা হয়েছে

অনেক শিশুই আছে অন্তর্মুখী স্বভাবের। আবার আধুনিক ব্যস্ত পৃথিবীতে শিশুদের খেলাধুলার , সম বয়সীদের সঙ্গে মেশার সুযোগও কম। তাদের জগৎ বলতে কেবল মোবাইল ফোন। ডিজিটাল গ্যাজেটের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় শিশুদের মধ্যে অন্তর্মুখী স্বভাব আরও বেড়েছে। অন্যদের সঙ্গে মিশতে শিশুরা জড়তা বোধ করে। সন্তান কারও সঙ্গে মিশতে না চাইলে বাবা-মাকেই চেষ্টা করতে তাদেরকে অন্যদের সাথে মিশতে উৎসাহিত করতে। এজন্য কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন।

কী করবেন-

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

১. সবকিছুই শেখান, তবে একটু ধীরে। খেলা করতেই হবে বা আজ এটা না করলে আর কোথাও নিয়ে যাবো না- শিশুদের এই জাতীয় কথাবার্তা বলবেন না। এতে শিশুর মনের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে। এটা বুঝতে হবে, হৈ চৈ করে মিশে যাওয়া তার স্বভাববিরুদ্ধ। এই ধরনের জোর চাপিয়ে দিলে শিশু নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে পারে। শিশুকে নিজের মতো করে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিন।

২. মনে রাখবেন সবার স্বভাব এক রকম হয় না। শিশুর স্বভাবকে সম্মান করুন, তাকে ছোট করবেন না। মিশতে পারিস না,কোথাও নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না -এই ধরনের কথাগুলো বাবা মায়ের থেকে একেবারেই কাম্য নয়। অন্তর্মুখী স্বভাবে শিশুরা খুব সংবেদনশীল হয়। আপনার সামনে যদি অন্য কেউ তাদের সঙ্গে এরকম করেন, তাকেও নিষেধ করবেন শিশুকে এসব বলতে।

৩. শিশুকে সব কিছুতে উৎসাহ দিন। অন্তর্মুখী স্বভাবের শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হয়। সেই কল্পনাগুলো গল্প, কবিতা বা আঁকার মাধ্যমে তারা অনেকসময় ফুটিয়ে তোলে। শিশুদের এসব সৃজনশীল কাজে আরও উৎসাহ দিন।

আরও পড়ুন: সূর্যালোকের চেয়েও ত্বকের ক্ষতি করে যেসব খাবার

৪. শিশুকে কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। আপনার সন্তানের যেন কোনও ভাবেই মনে না হয়, বাবা-মা হিসেবে আপনারা তাকে নিয়ে অখুশি। এমন আচরণ শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

৫. কোনো কিছুতে খারাপ লাগলেও অন্তর্মুখী স্বভাবের শিশুরা মুখ ফুটে বলতে চায় না। তার সমস্যার কথা কৌশলে জেনে নিতে হবে আপনাকেই। শিশুকে নিজের সঙ্গেও সময় কাটাতে দিন। সবসময় চোখে চোখে রাখবেন না।

৬. অন্তর্মুখী স্বভাবের জন্য শিশু যেন স্কুল বুলিং-এর শিকার না হয় সেটা খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে শিক্ষকদের জানিয়ে রাখুন শিশুর চুপচাপ স্বভাবের কথা। দেখবেন আপনার সন্তান হয়তো ধীরে ধীরে নিজেকে মানিবে নেবে অন্যদের সাথে।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

সন্তান কারও সঙ্গে মিশতে চায় না?

আপডেট: ১২:০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

অনেক শিশুই আছে অন্তর্মুখী স্বভাবের। আবার আধুনিক ব্যস্ত পৃথিবীতে শিশুদের খেলাধুলার , সম বয়সীদের সঙ্গে মেশার সুযোগও কম। তাদের জগৎ বলতে কেবল মোবাইল ফোন। ডিজিটাল গ্যাজেটের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় শিশুদের মধ্যে অন্তর্মুখী স্বভাব আরও বেড়েছে। অন্যদের সঙ্গে মিশতে শিশুরা জড়তা বোধ করে। সন্তান কারও সঙ্গে মিশতে না চাইলে বাবা-মাকেই চেষ্টা করতে তাদেরকে অন্যদের সাথে মিশতে উৎসাহিত করতে। এজন্য কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন।

কী করবেন-

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

১. সবকিছুই শেখান, তবে একটু ধীরে। খেলা করতেই হবে বা আজ এটা না করলে আর কোথাও নিয়ে যাবো না- শিশুদের এই জাতীয় কথাবার্তা বলবেন না। এতে শিশুর মনের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে। এটা বুঝতে হবে, হৈ চৈ করে মিশে যাওয়া তার স্বভাববিরুদ্ধ। এই ধরনের জোর চাপিয়ে দিলে শিশু নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে পারে। শিশুকে নিজের মতো করে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিন।

২. মনে রাখবেন সবার স্বভাব এক রকম হয় না। শিশুর স্বভাবকে সম্মান করুন, তাকে ছোট করবেন না। মিশতে পারিস না,কোথাও নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না -এই ধরনের কথাগুলো বাবা মায়ের থেকে একেবারেই কাম্য নয়। অন্তর্মুখী স্বভাবে শিশুরা খুব সংবেদনশীল হয়। আপনার সামনে যদি অন্য কেউ তাদের সঙ্গে এরকম করেন, তাকেও নিষেধ করবেন শিশুকে এসব বলতে।

৩. শিশুকে সব কিছুতে উৎসাহ দিন। অন্তর্মুখী স্বভাবের শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হয়। সেই কল্পনাগুলো গল্প, কবিতা বা আঁকার মাধ্যমে তারা অনেকসময় ফুটিয়ে তোলে। শিশুদের এসব সৃজনশীল কাজে আরও উৎসাহ দিন।

আরও পড়ুন: সূর্যালোকের চেয়েও ত্বকের ক্ষতি করে যেসব খাবার

৪. শিশুকে কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। আপনার সন্তানের যেন কোনও ভাবেই মনে না হয়, বাবা-মা হিসেবে আপনারা তাকে নিয়ে অখুশি। এমন আচরণ শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

৫. কোনো কিছুতে খারাপ লাগলেও অন্তর্মুখী স্বভাবের শিশুরা মুখ ফুটে বলতে চায় না। তার সমস্যার কথা কৌশলে জেনে নিতে হবে আপনাকেই। শিশুকে নিজের সঙ্গেও সময় কাটাতে দিন। সবসময় চোখে চোখে রাখবেন না।

৬. অন্তর্মুখী স্বভাবের জন্য শিশু যেন স্কুল বুলিং-এর শিকার না হয় সেটা খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে শিক্ষকদের জানিয়ে রাখুন শিশুর চুপচাপ স্বভাবের কথা। দেখবেন আপনার সন্তান হয়তো ধীরে ধীরে নিজেকে মানিবে নেবে অন্যদের সাথে।

ঢাকা/এসএম