০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

রাতে দেখা যাবে ‘গোলাপি’ চাঁদ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪০৯২ বার দেখা হয়েছে

বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে দেখা যায় ভিন্ন রূপে। চাঁদের এই রূপকে বলা হয় ‘পিঙ্ক মুন’ বা গোলাপি চাঁদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, এ বছরের গোলাপি চাঁদ পরিপূর্ণরূপে ধরা পড়বে দেশটির স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল—তিন দিন দেশটিতে এই চাঁদ দেখা যাবে। আর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।

এই বিশেষ পূর্ণিমাটি মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণের ঠিক এক মাস পরে ঘটে। এটি এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। যার কারণে এই সময় চাঁদের আকার বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।

আরও পড়ুন: সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১২৯, শীর্ষে ফিনল্যান্ড

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে সর্বোচ্চ আলো ছড়াবে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল-তিন দিন দেশটিতে এই চাঁদ দেখা যাবে। আর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়।

এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামি, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়।

এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়। বিশ্বজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে সারা বছরের পূর্ণিমার চাঁদের নানা নামকরণ করা হয়েছে। এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকেও। সে হিসেবে গোলাপি চাঁদ নাম পেয়েছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে। আঞ্চলিকভাবে গোলাপি রঙের এই ফুলকে ‘মস পিঙ্ক’ নামেও ডাকা হয়। এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও কিছু নাম রয়েছে—‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

রাতে দেখা যাবে ‘গোলাপি’ চাঁদ

আপডেট: ০৬:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে দেখা যায় ভিন্ন রূপে। চাঁদের এই রূপকে বলা হয় ‘পিঙ্ক মুন’ বা গোলাপি চাঁদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, এ বছরের গোলাপি চাঁদ পরিপূর্ণরূপে ধরা পড়বে দেশটির স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল—তিন দিন দেশটিতে এই চাঁদ দেখা যাবে। আর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।

এই বিশেষ পূর্ণিমাটি মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণের ঠিক এক মাস পরে ঘটে। এটি এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। যার কারণে এই সময় চাঁদের আকার বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।

আরও পড়ুন: সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১২৯, শীর্ষে ফিনল্যান্ড

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে সর্বোচ্চ আলো ছড়াবে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল-তিন দিন দেশটিতে এই চাঁদ দেখা যাবে। আর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়।

এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামি, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়।

এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়। বিশ্বজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে সারা বছরের পূর্ণিমার চাঁদের নানা নামকরণ করা হয়েছে। এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকেও। সে হিসেবে গোলাপি চাঁদ নাম পেয়েছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে। আঞ্চলিকভাবে গোলাপি রঙের এই ফুলকে ‘মস পিঙ্ক’ নামেও ডাকা হয়। এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও কিছু নাম রয়েছে—‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।

ঢাকা/এসএইচ