০৩:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে পুন:নিয়োগ পাচ্ছেন শিবলী রুবাইয়াত

হাসান কবির জনি:
  • আপডেট: ০৯:৪৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৪২৮ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য পুন:নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। গত ৩১ মার্চ অর্থমন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর এ সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। শিবলী রুবাইয়াতকে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে পুন:নিয়োগের সার সংক্ষেপটি গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে ‍অর্থমন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বিএসইসি’র চেয়ারম্যান পুন:নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ৫(৬) অনুসারে চেয়ারম্যান ও কমিশনারগন তাহাদের নিয়োগের তারিখ হইতে চার বছরের জন্য স্ব-স্ব পদে বহাল থাকিবেন এবং অনুরুপ একটি মাত্র মেয়াদের জন্য পুন:নিয়োগ যোগ্য হইবেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাক্তির বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হইলে তিনি চেয়াম্যান বা কমিশনার হইবার যোগ্য হইবেন না বা স্ব-পদে বহাল থাকিবেন না।

সার সংক্ষেপে আরও বলা হয়, গত ১৭ মে ২০২০ তারিখে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামকে চার বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। সে মোতাবেক আগামী ২৪ মে ২০২৪ তারিখে তার মেয়াদ শেষ হবে।  যেহেতু অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের বয়স আগামী ১৬ মে ৫৬ বছর চার মাস ১৫ দিন হবে, সে হিসেবে তার ৬৫ বছর পূর্ণ হতে চার বছরের অধিক সময় রয়েছে। সে অনুযায়ী তিনি আরও একটি মেয়াদে (চার বছরের জন্য) পুন:নিয়োগ যোগ্য।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ৫(৬) অনুযায়ী আগামী ১৭ মে ২০২৪ তারিখ হতে পরবর্তী পার বছরের জন্য আরও একটি মেয়াদে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে চুক্তিভিত্তিক পুনি:নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে। তার পুন:নিয়োগের শর্ত ও বেতন-ভাতাদি সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ মে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পানন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ও সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ থেকে ডেপুটেশন নিয়ে চার বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদে বিএসইসিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব্য গ্রহণের পর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে তালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের ন্যূণতম শেয়ারধারণের আইন পরিপালনে জোরালো নির্দেশনা, পুরনো আইপিও প্রক্রিয়ার সংস্কার, দূর্বল কোম্পানির পর্ষদ পূণর্গঠন, বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ, পর্যবেক্ষক বসানো ও ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিদ্যমান বোর্ড পূনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক ও উদ্যোক্তাদেরকে পুঁজিবাজারে কোন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বা মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানে পরিচালক হিসেবে থাকার সুযোগ বন্ধ করেছে।

আরও পড়ুন: বিনিয়োগের উত্তম জায়গা বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: শিবলী রুবাইয়াত

এছাড়াও ওটিসির বিনিয়োগকারীদের আটকে থাকা বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারে ওটিসি মার্কেট ভেঙ্গে এটিবি বা অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত, দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষমান থাকা আইপিও আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি এবং মানহীন ও দূর্বল কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া, যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তারা লোকসান দেখিয়ে নিজেরা লাভবান হচ্ছেন এবং বিনিয়োগকারীদেরকে ঠকাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা, প্রত্যান্ত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে সিকিউরিটিজ হাউজের শাখা অফিস খোলার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে দেশের বাইরে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর ডিজিটাল বুথ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ অন্যতম।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সাবেক কমিশনার অধ্যাপক স্বপন কুমার বালার চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি আগের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগে চলে গেছেন।  আরেক সাবেক কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন নিজামীর চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ ৩ মে শেষ হয়েছে। তিনিও চলে গেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগে। আর ২০১১ সালের ২৯ মে নিয়োগ পাওয়া সাবেক কমিশনার আমজাদ হোসেনের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল। এরপর থেকেই ওই পদে যোগ্য কাউকে নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার। সর্বশেষ গত ১৪ মে বিএসইসি’র বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।  এই সময়ে অধ্যাপক শিবলী দেশে এবং বিদেশে ফিন্যান্স, ব্যাংকিং এবং বিমাক্ষেত্র সম্পর্কিত অনেক ব্যবসায়, চেম্বার এবং গবেষণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি টারশিয়ারি পর্যায়ের জন্যে ‘ই-কমার্স ও ই-ব্যাংকিং’ এবং মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্যে জাতীয় বোর্ড প্রকাশিত ‘ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং’ বইয়ের লেখক।  অধ্যাপক শিবলীর এ বিষয় সংশ্লিষ্ট ১৬টিরও বেশি গবেষণা প্রকাশনা এবং ৫টি আন্তর্জাতিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ রয়েছে।

আরও পড়ুন: যেসব শেয়ার সর্বোচ্চ মূলধন খুইয়েছেন বিনিয়োগকারীরা

তিনি আইন ও ব্যবহারিক ব্যাংকিং, রিটেইল ও ই-ব্যাংকিং, বৈদেশিক বিনিময় ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং, কর্পোরেট সুশাসন, ব্যবসায় ও মৌলিক বিমা সংক্রান্ত আইন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি তিনি চীনের চেংদু-তে অবস্থিত সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত ‘অতিথি অধ্যাপক’ হিসাবে এবং বিএকেইউএমএসইএম সম্মেলনে শ্রেষ্ঠ গবেষণা পত্রিকার উপস্থাপক হিসাবে মনোনিত হয়েছেন। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসকো) এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনালে প্রথমবারের মতো ভাইস চেয়ার পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি আগামী ২০২২-২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করার পর পুনরায় একই পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা

 

শেয়ার করুন

x
English Version

বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে পুন:নিয়োগ পাচ্ছেন শিবলী রুবাইয়াত

আপডেট: ০৯:৪৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য পুন:নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। গত ৩১ মার্চ অর্থমন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর এ সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। শিবলী রুবাইয়াতকে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে পুন:নিয়োগের সার সংক্ষেপটি গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে ‍অর্থমন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বিএসইসি’র চেয়ারম্যান পুন:নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ৫(৬) অনুসারে চেয়ারম্যান ও কমিশনারগন তাহাদের নিয়োগের তারিখ হইতে চার বছরের জন্য স্ব-স্ব পদে বহাল থাকিবেন এবং অনুরুপ একটি মাত্র মেয়াদের জন্য পুন:নিয়োগ যোগ্য হইবেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাক্তির বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হইলে তিনি চেয়াম্যান বা কমিশনার হইবার যোগ্য হইবেন না বা স্ব-পদে বহাল থাকিবেন না।

সার সংক্ষেপে আরও বলা হয়, গত ১৭ মে ২০২০ তারিখে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামকে চার বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। সে মোতাবেক আগামী ২৪ মে ২০২৪ তারিখে তার মেয়াদ শেষ হবে।  যেহেতু অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের বয়স আগামী ১৬ মে ৫৬ বছর চার মাস ১৫ দিন হবে, সে হিসেবে তার ৬৫ বছর পূর্ণ হতে চার বছরের অধিক সময় রয়েছে। সে অনুযায়ী তিনি আরও একটি মেয়াদে (চার বছরের জন্য) পুন:নিয়োগ যোগ্য।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ৫(৬) অনুযায়ী আগামী ১৭ মে ২০২৪ তারিখ হতে পরবর্তী পার বছরের জন্য আরও একটি মেয়াদে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে চুক্তিভিত্তিক পুনি:নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে। তার পুন:নিয়োগের শর্ত ও বেতন-ভাতাদি সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ মে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পানন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ও সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ থেকে ডেপুটেশন নিয়ে চার বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদে বিএসইসিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব্য গ্রহণের পর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে তালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের ন্যূণতম শেয়ারধারণের আইন পরিপালনে জোরালো নির্দেশনা, পুরনো আইপিও প্রক্রিয়ার সংস্কার, দূর্বল কোম্পানির পর্ষদ পূণর্গঠন, বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ, পর্যবেক্ষক বসানো ও ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিদ্যমান বোর্ড পূনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক ও উদ্যোক্তাদেরকে পুঁজিবাজারে কোন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বা মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানে পরিচালক হিসেবে থাকার সুযোগ বন্ধ করেছে।

আরও পড়ুন: বিনিয়োগের উত্তম জায়গা বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: শিবলী রুবাইয়াত

এছাড়াও ওটিসির বিনিয়োগকারীদের আটকে থাকা বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারে ওটিসি মার্কেট ভেঙ্গে এটিবি বা অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত, দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষমান থাকা আইপিও আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি এবং মানহীন ও দূর্বল কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া, যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তারা লোকসান দেখিয়ে নিজেরা লাভবান হচ্ছেন এবং বিনিয়োগকারীদেরকে ঠকাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা, প্রত্যান্ত বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে সিকিউরিটিজ হাউজের শাখা অফিস খোলার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে দেশের বাইরে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর ডিজিটাল বুথ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ অন্যতম।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সাবেক কমিশনার অধ্যাপক স্বপন কুমার বালার চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি আগের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগে চলে গেছেন।  আরেক সাবেক কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন নিজামীর চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ ৩ মে শেষ হয়েছে। তিনিও চলে গেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগে। আর ২০১১ সালের ২৯ মে নিয়োগ পাওয়া সাবেক কমিশনার আমজাদ হোসেনের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল। এরপর থেকেই ওই পদে যোগ্য কাউকে নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার। সর্বশেষ গত ১৪ মে বিএসইসি’র বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।  এই সময়ে অধ্যাপক শিবলী দেশে এবং বিদেশে ফিন্যান্স, ব্যাংকিং এবং বিমাক্ষেত্র সম্পর্কিত অনেক ব্যবসায়, চেম্বার এবং গবেষণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি টারশিয়ারি পর্যায়ের জন্যে ‘ই-কমার্স ও ই-ব্যাংকিং’ এবং মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্যে জাতীয় বোর্ড প্রকাশিত ‘ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং’ বইয়ের লেখক।  অধ্যাপক শিবলীর এ বিষয় সংশ্লিষ্ট ১৬টিরও বেশি গবেষণা প্রকাশনা এবং ৫টি আন্তর্জাতিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ রয়েছে।

আরও পড়ুন: যেসব শেয়ার সর্বোচ্চ মূলধন খুইয়েছেন বিনিয়োগকারীরা

তিনি আইন ও ব্যবহারিক ব্যাংকিং, রিটেইল ও ই-ব্যাংকিং, বৈদেশিক বিনিময় ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং, কর্পোরেট সুশাসন, ব্যবসায় ও মৌলিক বিমা সংক্রান্ত আইন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি তিনি চীনের চেংদু-তে অবস্থিত সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত ‘অতিথি অধ্যাপক’ হিসাবে এবং বিএকেইউএমএসইএম সম্মেলনে শ্রেষ্ঠ গবেষণা পত্রিকার উপস্থাপক হিসাবে মনোনিত হয়েছেন। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসকো) এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনালে প্রথমবারের মতো ভাইস চেয়ার পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি আগামী ২০২২-২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করার পর পুনরায় একই পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা