০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

১০ শর্তে ই-বাইক উৎপাদনে মিলবে কর ছাড়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / ১০২৭৩ বার দেখা হয়েছে

জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাইক (ই-বাইক) সবার নাগালে আনতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয়ভাবে উৎপাদনে বড় ধরনের কর ছাড়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, ই-বাইক উৎপাদনে ৫ শতাংশের বেশি সব ধরনের কর মওকুফ করা হবে। এছাড়া ই-বাইক তৈরির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানি বা দেশীয়ভাবে সংগ্রহের ক্ষেত্রেও ভ্যাট, আগাম কর (এটি) ও সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এসব কর সুবিধা পেতে বিনিয়োগকারীদের মানতে হবে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত। আর শর্ত মেনে ই-বাইক উৎপাদনে এগিয়ে এলে এ শিল্পে বিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. নিবন্ধন: বিডা, অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।

২. বিআরটিএ অনুমোদন: ই-বাইক (টু-হুইলার) উৎপাদনের জন্য বিআরটিএ থেকে মেকারস কোড ও টাইপ অনুমোদন নিতে হবে।

৩. চেসিস উৎপাদনের সক্ষমতা: কারখানায় চেসিস তৈরির জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৪. প্লাস্টিক যন্ত্রপাতি: ই-বাইকের প্লাস্টিক অংশ তৈরির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কারখানায় স্থাপন করতে হবে।

৫. রংকরণ সুবিধা: নিজস্ব পেইন্ট শপ থাকতে হবে এবং রং করার কাজ কারখানাতেই সম্পন্ন করতে হবে।

৬. ইলেকট্রিক মোটর: ইলেকট্রিক মোটরের যন্ত্রাংশ নিজস্বভাবে উৎপাদন করতে হবে।

৭. ব্যাটারি: নিজস্বভাবে ব্যাটারি তৈরি করতে হবে বা স্থানীয় উৎপাদনকারীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে।

আরও পড়ুন: বাণিজ্য উত্তেজনার প্রভাবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমবে: বিশ্বব্যাংক

৮. পরিবেশ ছাড়পত্র: পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ আইএসও সনদ থাকতে হবে।

৯. মানবসম্পদ: কারখানায় কমপক্ষে ২৫০ জন কর্মী থাকতে হবে।

১০. বিক্রয়োত্তর সেবা: বিক্রয়কেন্দ্র, যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও সেবা কেন্দ্রসহ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

১০ শর্তে ই-বাইক উৎপাদনে মিলবে কর ছাড়

আপডেট: ০৫:৪৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাইক (ই-বাইক) সবার নাগালে আনতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয়ভাবে উৎপাদনে বড় ধরনের কর ছাড়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, ই-বাইক উৎপাদনে ৫ শতাংশের বেশি সব ধরনের কর মওকুফ করা হবে। এছাড়া ই-বাইক তৈরির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানি বা দেশীয়ভাবে সংগ্রহের ক্ষেত্রেও ভ্যাট, আগাম কর (এটি) ও সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এসব কর সুবিধা পেতে বিনিয়োগকারীদের মানতে হবে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত। আর শর্ত মেনে ই-বাইক উৎপাদনে এগিয়ে এলে এ শিল্পে বিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. নিবন্ধন: বিডা, অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।

২. বিআরটিএ অনুমোদন: ই-বাইক (টু-হুইলার) উৎপাদনের জন্য বিআরটিএ থেকে মেকারস কোড ও টাইপ অনুমোদন নিতে হবে।

৩. চেসিস উৎপাদনের সক্ষমতা: কারখানায় চেসিস তৈরির জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৪. প্লাস্টিক যন্ত্রপাতি: ই-বাইকের প্লাস্টিক অংশ তৈরির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কারখানায় স্থাপন করতে হবে।

৫. রংকরণ সুবিধা: নিজস্ব পেইন্ট শপ থাকতে হবে এবং রং করার কাজ কারখানাতেই সম্পন্ন করতে হবে।

৬. ইলেকট্রিক মোটর: ইলেকট্রিক মোটরের যন্ত্রাংশ নিজস্বভাবে উৎপাদন করতে হবে।

৭. ব্যাটারি: নিজস্বভাবে ব্যাটারি তৈরি করতে হবে বা স্থানীয় উৎপাদনকারীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে।

আরও পড়ুন: বাণিজ্য উত্তেজনার প্রভাবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমবে: বিশ্বব্যাংক

৮. পরিবেশ ছাড়পত্র: পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ আইএসও সনদ থাকতে হবে।

৯. মানবসম্পদ: কারখানায় কমপক্ষে ২৫০ জন কর্মী থাকতে হবে।

১০. বিক্রয়োত্তর সেবা: বিক্রয়কেন্দ্র, যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও সেবা কেন্দ্রসহ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ