১০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অটোইমিউন ডিজিজ শনাক্ত করা কঠিন কেন?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ১০২৮১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কারও শরীরের ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) যদি তার নিজের শরীরকেই ভুল করে আক্রমণ করে বসে সহজ ভাষায় সেটিকেই অটোইমিউন ডিজিজ বলা হয়। রোগ প্রতিরোধ খুব কম থাকা অথবা অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যাওয়ার সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ঠিক কী কারণে এই রোগ হয়, তা এখনও অজানা। তবে মনে করা হয় যে কোনো বিশেষ প্রকারের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া বা কখনো কোনো বিশেষ ওষুধের প্রভাবে শরীরের এমন কিছু পরিবর্তন আনে যে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার পদ্ধতিকে নষ্ট করে ফেলে। 

অটোইমিউন ডিজিজ প্রায়শই শনাক্ত করতে সমস্যা হয়, দেরি হয় এবং রোগটি কখনোই পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। তবে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

অটোইমিউন ডিজিজ প্রায়শই শনাক্ত করতে সমস্যা হয়, এমনকি পশ্চিমা বিশ্বে যেখানে স্বাস্থ্য সেবা অনেক উন্নত সেখানেও। নানা ধরনের অটোইমিউন ডিজিজের উপসর্গ একইরকম।

এই রোগের উপসর্গগুলো অনেকসময় বেশ হঠাৎ করে প্রকাশ পায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ধরুন হার্ট বা কিডনির সমস্যা হলে নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় অটোইমিউন ডিজিজ শনাক্ত করতে সমস্যা হয় কারণ দেখা যায় এর নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ থাকে না। অন্য অনেক শারীরিক সমস্যার সাথে এর উপসর্গ মিলে যায়। ক্লান্তি, চুল পড়ে যাওয়া, পেটের সমস্যাকে অনেক সময় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। দেখা যায় অসংখ্যবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরও আসল রোগটি শনাক্ত হয়নি বা দেরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কিছু ধরন আছে যা নির্দিষ্ট অঙ্গ আক্রান্ত করে এবং যে অঙ্গ ধরে ওটাতেই থাকে। কিন্তু যে অটোইমিউন ডিজিজ শরীরের পুরো সিস্টেমকে আক্রান্ত করে সেটা শনাক্ত করা আরও সমস্যা। এটা শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করতে পারে। দেখা যাবে আজকে লিভার ধরেছে, কিছুদিন পর হয়ত শরীরে রক্ত কমে গেছে, কিছুদিন পর দেখা যাবে গিঁটে ব্যথা, মাস কয়েক পর হয়ত তার কিডনি বা হার্টে সমস্যা হয়েছে। এই ধরনটা খুবই বিপজ্জনক। 

ডা. শামীম আহমেদ বলছেন, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু দুঃখজনক হলো এটা আগে থেকে প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত বিশ্বে আবিষ্কৃত হয়নি। রোগটা হয়ে গেলে আমরা চিকিৎসা দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। কিন্তু আমার বংশে আছে, আমার যাতে রোগটা না হয় সেই ব্যবস্থা আমি করতে পারব কি না, হলে চিকিৎসায় সেরে যাবে কি না, এই প্রশ্ন যদি করেন এর উত্তরটা হবে, না।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

অটোইমিউন ডিজিজ শনাক্ত করা কঠিন কেন?

আপডেট: ০১:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কারও শরীরের ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) যদি তার নিজের শরীরকেই ভুল করে আক্রমণ করে বসে সহজ ভাষায় সেটিকেই অটোইমিউন ডিজিজ বলা হয়। রোগ প্রতিরোধ খুব কম থাকা অথবা অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যাওয়ার সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ঠিক কী কারণে এই রোগ হয়, তা এখনও অজানা। তবে মনে করা হয় যে কোনো বিশেষ প্রকারের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া বা কখনো কোনো বিশেষ ওষুধের প্রভাবে শরীরের এমন কিছু পরিবর্তন আনে যে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার পদ্ধতিকে নষ্ট করে ফেলে। 

অটোইমিউন ডিজিজ প্রায়শই শনাক্ত করতে সমস্যা হয়, দেরি হয় এবং রোগটি কখনোই পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। তবে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

অটোইমিউন ডিজিজ প্রায়শই শনাক্ত করতে সমস্যা হয়, এমনকি পশ্চিমা বিশ্বে যেখানে স্বাস্থ্য সেবা অনেক উন্নত সেখানেও। নানা ধরনের অটোইমিউন ডিজিজের উপসর্গ একইরকম।

এই রোগের উপসর্গগুলো অনেকসময় বেশ হঠাৎ করে প্রকাশ পায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ধরুন হার্ট বা কিডনির সমস্যা হলে নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় অটোইমিউন ডিজিজ শনাক্ত করতে সমস্যা হয় কারণ দেখা যায় এর নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ থাকে না। অন্য অনেক শারীরিক সমস্যার সাথে এর উপসর্গ মিলে যায়। ক্লান্তি, চুল পড়ে যাওয়া, পেটের সমস্যাকে অনেক সময় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। দেখা যায় অসংখ্যবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরও আসল রোগটি শনাক্ত হয়নি বা দেরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কিছু ধরন আছে যা নির্দিষ্ট অঙ্গ আক্রান্ত করে এবং যে অঙ্গ ধরে ওটাতেই থাকে। কিন্তু যে অটোইমিউন ডিজিজ শরীরের পুরো সিস্টেমকে আক্রান্ত করে সেটা শনাক্ত করা আরও সমস্যা। এটা শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করতে পারে। দেখা যাবে আজকে লিভার ধরেছে, কিছুদিন পর হয়ত শরীরে রক্ত কমে গেছে, কিছুদিন পর দেখা যাবে গিঁটে ব্যথা, মাস কয়েক পর হয়ত তার কিডনি বা হার্টে সমস্যা হয়েছে। এই ধরনটা খুবই বিপজ্জনক। 

ডা. শামীম আহমেদ বলছেন, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু দুঃখজনক হলো এটা আগে থেকে প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত বিশ্বে আবিষ্কৃত হয়নি। রোগটা হয়ে গেলে আমরা চিকিৎসা দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। কিন্তু আমার বংশে আছে, আমার যাতে রোগটা না হয় সেই ব্যবস্থা আমি করতে পারব কি না, হলে চিকিৎসায় সেরে যাবে কি না, এই প্রশ্ন যদি করেন এর উত্তরটা হবে, না।

ঢাকা/এসএম