০৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

অনাদায়ী ক্ষতি বিপরীতে আইসিবি’র প্রভিশনিংয়ের মেয়াদ বাড়লো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • / ৪২৬১ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশন সংরক্ষণ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা বাড়িয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করার শর্তে নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করার সময়সীমা ২০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ছাড়া ২০২২ সালের ২ নভেম্বর কমিশনপত্রে উল্লিখিত শর্ত মোতাবেক লভ্যাংশ ও মুনাফা ভিত্তিক প্রণোদনা ঘোষণার পূর্বে কমিশনের সাথে আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বছরের সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদনের সক্ষমতা বিবেচনা করারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জানা গেছে, ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের পরে মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার ব্যবসা করা অনেক বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে ফেলেন। এতে আইসিবির কাছে উল্টো বিনিয়োগকারীরা দেনাদার হয়ে যান। এখন বিনিয়োগকারীদের হিসাবে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেতে আইসিবির হাতে দুটো রাস্তা আছে। একটি হলো- বিনিয়োগকারীদের হিসাব থেকে সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া। অন্যটি হলো- বিনিয়োগকারীদের হিসাবে যে লোকসান রয়েছে তার বিপরীতে প্রভিশন রেখে ধীরে ধীরে ঋণ কমিয়ে ফেলা। যদিও শেয়ার বিক্রি করে দিলে পুঁজিবাজারে বিক্রির চাপ বাড়বে এবং আইসিবির মূলধন ঋণাত্মক হয়ে যাবে। তাই এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইসিবির নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংরক্ষণ করার সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ালো বিএসইসি।

এর আগে চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকের (বিনিয়োগকারী) মার্জিন ঋণের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএসইসি।

উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ জারি করা বিএসইসির এক নির্দেশনায়, স্টক বোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নিজস্ব মার্জিন ঋণের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

অনাদায়ী ক্ষতি বিপরীতে আইসিবি’র প্রভিশনিংয়ের মেয়াদ বাড়লো

আপডেট: ০৮:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশন সংরক্ষণ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা বাড়িয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করার শর্তে নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করার সময়সীমা ২০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ছাড়া ২০২২ সালের ২ নভেম্বর কমিশনপত্রে উল্লিখিত শর্ত মোতাবেক লভ্যাংশ ও মুনাফা ভিত্তিক প্রণোদনা ঘোষণার পূর্বে কমিশনের সাথে আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বছরের সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদনের সক্ষমতা বিবেচনা করারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জানা গেছে, ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের পরে মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার ব্যবসা করা অনেক বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে ফেলেন। এতে আইসিবির কাছে উল্টো বিনিয়োগকারীরা দেনাদার হয়ে যান। এখন বিনিয়োগকারীদের হিসাবে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেতে আইসিবির হাতে দুটো রাস্তা আছে। একটি হলো- বিনিয়োগকারীদের হিসাব থেকে সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া। অন্যটি হলো- বিনিয়োগকারীদের হিসাবে যে লোকসান রয়েছে তার বিপরীতে প্রভিশন রেখে ধীরে ধীরে ঋণ কমিয়ে ফেলা। যদিও শেয়ার বিক্রি করে দিলে পুঁজিবাজারে বিক্রির চাপ বাড়বে এবং আইসিবির মূলধন ঋণাত্মক হয়ে যাবে। তাই এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইসিবির নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংরক্ষণ করার সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ালো বিএসইসি।

এর আগে চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকের (বিনিয়োগকারী) মার্জিন ঋণের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএসইসি।

উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ জারি করা বিএসইসির এক নির্দেশনায়, স্টক বোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নিজস্ব মার্জিন ঋণের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ঢাকা/এসএইচ