অনিয়ম-দূর্ণীতিতে জড়িত বিএসইসির ৪ বিভাগের প্রায় সব কর্মকর্তা

- আপডেট: ০৪:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১০৬৬৫ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে সেকেন্ডারি মার্কেটে কারসাজিকারদের নাম এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) দূর্বল কোম্পানির অর্থ তুলে নেওয়ার ঘটনা। আইপিও’র জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান বা দু-একজন কমিশনারকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এরসঙ্গে জড়িত বিএসইসির বিরাট এক সিন্ডিকেট। একইভাবে অন্যসব বিভাগেও বড় বড় সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা ধরাছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছে সবসময়। তবে বিএসইসিরই গঠিত তদন্ত কমিটি ওইসব সিন্ডিকেট দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনিয়ম তুলে ধরেছে তাদের রিপোর্টে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তদন্ত রিপোর্টে বিএসইসির ৪টি বিভাগের প্রায় সকল কর্মকর্তারা বিভিন্ন অনিয়ম এর সাথে জড়িত রয়েছে বলে তদন্ত কমিটি তুলে ধরেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিএসইসির সার্ভিস রুল অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
বিভাগগুলো হচ্ছে – ক্যাপিটাল রেইজিং ইস্যু বিভাগ (আইপিও), মিউচুয়াল ফান্ড বিভাগ, এনফোর্সমেন্ট এবং সুপারভিশন অ্যান্ড রেগুলেশনস অব ইস্যুয়ার কোম্পানিজ বিভাগ (এসআরআইসি)।
জানা গেছে, তদন্ত কমিটি ৩ মাস আগে ওইসব বিভাগের দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করেছে। তারপরেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছিল না কমিশন। তবে সম্প্রতি তদন্ত কমিটির চাপে দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদেরকে শোকজ করার উদ্যোগ নেয়। যার ধারাবাহিকতায় প্রায় ২ ডজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করেছে। এরমধ্যে নির্বাহি পরিচালক, পরিচালক, উপপরিচালকসহ অন্যান্য পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছে। এছাড়া শোকজের অপেক্ষায় আছে আরও অনেকে। এতে করে বিএসইসির দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মাঝে তৈরী হয়েছে আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংক খতিয়ে দেখবে বিএসইসি
তবে বিএসইসির কর্মকর্তাদের নাম দূর্ণীতির তথ্য তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসায়, বর্তমান কমিশন তা প্রকাশ করছে না। যদিও সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সবার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এক পরিচালক অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে লুকোচুরি করার কিছু নেই। যেহেতু এ কমিশন নিজেদেরকে স্বচ্ছ দাবি করে, সেহেতু তাদের উচিত রিপোর্ট সবার জন্য প্রকাশ করা। এছাড়া কমিশনের প্রধানতো আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রকাশ করবেন।
উল্লেখ্য, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, সাবেক কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদসহ বিএসইসির বর্তমান ৭জন কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিল ও দুদকের তদন্ত করার কারনে চাঁপে রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ঢাকা/এসএইচ