০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

অন্যের বুদ্ধিতে আমির হওয়ার চেয়ে নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়াও ভালো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১
  • / ৫১৯৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

জেনে-বুঝে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। আপনি যখন একটি বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখবেন তখনই তা পারদর্শিতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারবেন। কিন্তু বিপত্তি তখনই ঘটবে, যখন অন্যের কথার ওপর নির্ভর করে আপনি কোনো কাজ করবেন।

বহুল পরিচিত একটি প্রবাদ আছে, ‘অন্যের বুদ্ধিতে আমির হওয়ার চাইতে নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়াও ভালো।’ কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আচরণ ঠিক তার বিপরীত। এরা নিজের নয় অন্যের বুদ্ধিতে ফকির হতেই বেশি পছন্দ করেন। যে কারণে প্রায় সময়ই দেখা যায়, আমাদের পুঁজিবাজারে গুজব বেশ জনপ্রিয়। বিনিয়োগকারীরা তথ্য নির্ভরতাকে পাশ কাটিয়ে হুজগে-গুজবে প্রায় সময়ই মেতে ওঠেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবার কোনো কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা বা প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ওইসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগে হুমড়ি খেয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা।

এ ধরনের বিনিয়োগ কি আসলে মুনাফা নিশ্চিত করে? একটি কোম্পানির বিগত সময়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি এড়াতে ঘোষণানির্ভর নয়, প্রয়োজন জেনে-বুঝে বিনিয়োগের মানসিকতা।

আমাদের পুঁজিবাজার নানা সময়ে নানা ইস্যুতে প্রভাবিত হয়ে থাকে, যা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন কোম্পানির লালিত পালিত একদল সিন্ডিকেট চক্র এ ধরনের ইস্যু বাজারে ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করায় সদা প্রস্তুত থাকে। পাঠক, বাজারের বিভ্রান্তিমূলক বিভিন্ন ইস্যু চক্রগুলো ইন্টারনেট, এসএমএস, ফেসবুক, এমনকি বাজার সংক্রান্ত নানা ধরনের তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।

আর ডিভিডেন্ড প্রদান এবং প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন ইস্যুতে মূলত সিন্ডিকেট চক্র বেশি তৎপর থাকে। যেমন ডিভিডেন্ড মৌসুমী কোম্পানিগুলোর দিকে বিনিয়োগকারীদের নজর সবসময়ই বেশি থাকে। আগের বছরের তুলনায় এ বছর ডিভিডেন্ডের পরিমাণ কেমন হবে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীরাও বেশ উৎসুক থাকে। বিনিয়োগকারীদের এ মনোভাব পুঁজি করে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা বিভিন্ন সাইটে ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য ছড়াতে থাকে।

শুধু তাই নয়, প্রান্তিক প্রতিবেদনে স্বয়ং কোম্পানিগুলোই অতিরিক্ত মুনাফা দেখিয়ে ফায়দা হাসিলের পাঁয়তারা করে। এ ধরনের চক্রের ফাঁদে পড়ে একটি শ্রেণী সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছলে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হন আমাদের স্বল্প পুঁজির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

আর এ জন্য বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে অসচেতনাকেও এড়িয়ে যাবার অবকাশ নেই। যা নিয়ে প্রায় সময়ই আমাদের বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে বলে আসছি বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। তবেই দিন বদলাবে, দস্যুরা সব পিছু হটবে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এইচকে

শেয়ার করুন

x
English Version

অন্যের বুদ্ধিতে আমির হওয়ার চেয়ে নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়াও ভালো

আপডেট: ১০:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১

জেনে-বুঝে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। আপনি যখন একটি বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখবেন তখনই তা পারদর্শিতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারবেন। কিন্তু বিপত্তি তখনই ঘটবে, যখন অন্যের কথার ওপর নির্ভর করে আপনি কোনো কাজ করবেন।

বহুল পরিচিত একটি প্রবাদ আছে, ‘অন্যের বুদ্ধিতে আমির হওয়ার চাইতে নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়াও ভালো।’ কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আচরণ ঠিক তার বিপরীত। এরা নিজের নয় অন্যের বুদ্ধিতে ফকির হতেই বেশি পছন্দ করেন। যে কারণে প্রায় সময়ই দেখা যায়, আমাদের পুঁজিবাজারে গুজব বেশ জনপ্রিয়। বিনিয়োগকারীরা তথ্য নির্ভরতাকে পাশ কাটিয়ে হুজগে-গুজবে প্রায় সময়ই মেতে ওঠেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবার কোনো কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা বা প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ওইসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগে হুমড়ি খেয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা।

এ ধরনের বিনিয়োগ কি আসলে মুনাফা নিশ্চিত করে? একটি কোম্পানির বিগত সময়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি এড়াতে ঘোষণানির্ভর নয়, প্রয়োজন জেনে-বুঝে বিনিয়োগের মানসিকতা।

আমাদের পুঁজিবাজার নানা সময়ে নানা ইস্যুতে প্রভাবিত হয়ে থাকে, যা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন কোম্পানির লালিত পালিত একদল সিন্ডিকেট চক্র এ ধরনের ইস্যু বাজারে ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করায় সদা প্রস্তুত থাকে। পাঠক, বাজারের বিভ্রান্তিমূলক বিভিন্ন ইস্যু চক্রগুলো ইন্টারনেট, এসএমএস, ফেসবুক, এমনকি বাজার সংক্রান্ত নানা ধরনের তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।

আর ডিভিডেন্ড প্রদান এবং প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন ইস্যুতে মূলত সিন্ডিকেট চক্র বেশি তৎপর থাকে। যেমন ডিভিডেন্ড মৌসুমী কোম্পানিগুলোর দিকে বিনিয়োগকারীদের নজর সবসময়ই বেশি থাকে। আগের বছরের তুলনায় এ বছর ডিভিডেন্ডের পরিমাণ কেমন হবে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীরাও বেশ উৎসুক থাকে। বিনিয়োগকারীদের এ মনোভাব পুঁজি করে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা বিভিন্ন সাইটে ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য ছড়াতে থাকে।

শুধু তাই নয়, প্রান্তিক প্রতিবেদনে স্বয়ং কোম্পানিগুলোই অতিরিক্ত মুনাফা দেখিয়ে ফায়দা হাসিলের পাঁয়তারা করে। এ ধরনের চক্রের ফাঁদে পড়ে একটি শ্রেণী সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছলে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হন আমাদের স্বল্প পুঁজির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

আর এ জন্য বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে অসচেতনাকেও এড়িয়ে যাবার অবকাশ নেই। যা নিয়ে প্রায় সময়ই আমাদের বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে বলে আসছি বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। তবেই দিন বদলাবে, দস্যুরা সব পিছু হটবে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এইচকে