অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩১ শতাংশ

- আপডেট: ১২:২১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
- / ১০৪৭৬ বার দেখা হয়েছে
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩১ শতাংশ। এসব বাজারে প্রায় ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ রপ্তানি বেড়ে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, আলোচ্য সময়ে জাপানের প্রধান বাজারগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের রপ্তানি ছিল এক দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ৯৬১ দশমিক ৩০ মিলিয়ন, ভারতীয় বাজারে ৮৮৯ দশমিক শূন্য ৬ মিলিয়ন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭৭ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আলোচ্য সময়ে মোট পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে ইউরোপের বাজারে গেছে ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক (মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ)। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক, যা মোট রপ্তানির ১৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। এ সময়ে কানাডায় রপ্তানি হয়েছে এক দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক, যা মোট রপ্তানির ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এটি এ সময়ে মোট পোশাক রপ্তানির ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ইইউ অঞ্চলের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি কমেছে। এ সময়ে জার্মানিতে রপ্তানি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় জার্মানিতে ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সনদে নগদ সহায়তা পাবেন আলু রপ্তানিকারকরা
তিনি বলেন, আলোচ্য সময়ে ফ্রান্স এবং স্পেনে পোশাক রপ্তানি হয়েছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২ দশমিক ৯৫ বিলিযন মার্কিন ডলার। এ সময়ে দেশ দুটিতে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয় যথাক্রমে ২২ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ইতালিও ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির প্রবণতা দেখিয়েছে। দেশটিতে এক দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তবে, বুলগেরিয়া এবং পোল্যান্ডে রপ্তানি কমেছে। এ সময়ে দেশ দুটিতে যথাক্রমে ৪৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ পোশাক রপ্তানি কমেছে।
আলোচ্য সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বা রপ্তানি কমেছে, যা হতাশাব্যাঞ্জক বলে মনে করেন বিজিএমইএ’র এ পরিচালক। তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। একই সময়ে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এটা আমাদের জন্য অনেক ইতিবাচক দিক।
ঢাকা/এসএ