১০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

অভিহিত মূল্যে ফিরেছে ২৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৪৬৮ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে সুশাসন ফেরার পূর্বাভাসে গতি ফিরতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর দেখা দিয়েছে চাঙ্গাভাব। চাঙ্গা বাজারে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে স্বল্প দরের শেয়ার। স্বল্প বিনিয়োগ করে বেশি লাভ করার প্রবণতা নিয়ে এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন তারা। এ কারণে দ্রুতই বাড়ছে এসব কোম্পানির শেয়ারদর, যার জের ধরে ১০ টাকার নিচে থাকা শেয়ার ও ইউনিটের দর আবার অভিহিত দর ১০ টাকায় ফিরতে শুরু করেছে। চাঙ্গা বাজারে ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত ২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর ১০ টাকা অতিক্রম করেছে।

এর আগে পুঁজিবাজার দর পতনের জের ধরে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অভিহিত দরের নিচে নেমে যায় তালিকাভুক্ত ৩১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার আগেই এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর ১০ টাকার নিচে নেমে যায়। আর ২০১৯ সাল শেষে পুঁজিবাজারের এ ধরনের কোম্পানি ও ফান্ডের সংখ্যা ছিল ৬১টি। এ নিয়ে মোট ১০ টাকার নিচে দর থাকা কোম্পানি ও ফান্ডের সংখ্যা ছিল ৯২টি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, শেয়ার অভিহিত দরে ফিরে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যাংক খাতের এবি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক। একইভাবে বস্ত্র খাতের রয়েছে ইটিএল, কাট্টলী টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিমস, রিজেন্ট টেক্সটাইল, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, সাফকো স্পিনিং, মিথুং নিটিং এবং ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং।

অন্যদিকে সম্প্রতি বাজার উত্থানের জের ধরে অভিহিত দরে ফিরে এসেছে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফু-ওয়াং সিরামিক, শাইন পুকুর সিরামিক. দেশবন্ধু পলিমার, সেন্ট্রাল ফার্মা, সালভো কেমিক্যাল, ন্যাশনাল ফিড মিল, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড, এনএলআই ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড, রিলায়েন্স ওয়ান, সাউথইস্ট ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, এসইএমএল গ্রোথ মিউচুয়াল ফান্ড, সিইএএলএম লেকচার ইক্যুইটি ফান্ড এবং মেঘনা পিইটির শেয়ার।

বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, মূলত দুই কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে কমে যায়। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে বাছ-বিচার না করে কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া। দ্বিতীয়ত, কয়েক বছর ধরে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো না থাকা। তবে বর্তমানে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে এসব শেয়ারদর বাড়ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ শেয়ারদরই সার্বিক বাজারচিত্রের কারণে অর্থাৎ সব ধরনের শেয়ারদর বাড়ার কারণে এসব শেয়ারদর বাড়ছে। তার মানে এই নয় যে কোম্পানির আর্র্থিক অবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। তাই এ ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে ভাবতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/এইচআর

পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির সর্বশেষ সবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ ‘বিজনেস জার্নাল

ও ফেসবুক গ্রুপ ‘ডিএসই-সিএসই আপডেট’ এর সাথে সংযুক্ত থাকুন।

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

অভিহিত মূল্যে ফিরেছে ২৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার

আপডেট: ০২:২২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০

পুঁজিবাজারে সুশাসন ফেরার পূর্বাভাসে গতি ফিরতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর দেখা দিয়েছে চাঙ্গাভাব। চাঙ্গা বাজারে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে স্বল্প দরের শেয়ার। স্বল্প বিনিয়োগ করে বেশি লাভ করার প্রবণতা নিয়ে এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন তারা। এ কারণে দ্রুতই বাড়ছে এসব কোম্পানির শেয়ারদর, যার জের ধরে ১০ টাকার নিচে থাকা শেয়ার ও ইউনিটের দর আবার অভিহিত দর ১০ টাকায় ফিরতে শুরু করেছে। চাঙ্গা বাজারে ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত ২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর ১০ টাকা অতিক্রম করেছে।

এর আগে পুঁজিবাজার দর পতনের জের ধরে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অভিহিত দরের নিচে নেমে যায় তালিকাভুক্ত ৩১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার আগেই এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর ১০ টাকার নিচে নেমে যায়। আর ২০১৯ সাল শেষে পুঁজিবাজারের এ ধরনের কোম্পানি ও ফান্ডের সংখ্যা ছিল ৬১টি। এ নিয়ে মোট ১০ টাকার নিচে দর থাকা কোম্পানি ও ফান্ডের সংখ্যা ছিল ৯২টি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, শেয়ার অভিহিত দরে ফিরে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যাংক খাতের এবি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক। একইভাবে বস্ত্র খাতের রয়েছে ইটিএল, কাট্টলী টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিমস, রিজেন্ট টেক্সটাইল, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, সাফকো স্পিনিং, মিথুং নিটিং এবং ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং।

অন্যদিকে সম্প্রতি বাজার উত্থানের জের ধরে অভিহিত দরে ফিরে এসেছে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফু-ওয়াং সিরামিক, শাইন পুকুর সিরামিক. দেশবন্ধু পলিমার, সেন্ট্রাল ফার্মা, সালভো কেমিক্যাল, ন্যাশনাল ফিড মিল, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড, এনএলআই ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড, রিলায়েন্স ওয়ান, সাউথইস্ট ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, এসইএমএল গ্রোথ মিউচুয়াল ফান্ড, সিইএএলএম লেকচার ইক্যুইটি ফান্ড এবং মেঘনা পিইটির শেয়ার।

বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, মূলত দুই কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে কমে যায়। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে বাছ-বিচার না করে কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া। দ্বিতীয়ত, কয়েক বছর ধরে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো না থাকা। তবে বর্তমানে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে এসব শেয়ারদর বাড়ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ শেয়ারদরই সার্বিক বাজারচিত্রের কারণে অর্থাৎ সব ধরনের শেয়ারদর বাড়ার কারণে এসব শেয়ারদর বাড়ছে। তার মানে এই নয় যে কোম্পানির আর্র্থিক অবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। তাই এ ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে ভাবতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/এইচআর

পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির সর্বশেষ সবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ ‘বিজনেস জার্নাল

ও ফেসবুক গ্রুপ ‘ডিএসই-সিএসই আপডেট’ এর সাথে সংযুক্ত থাকুন।