অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে: অর্থ উপদেষ্টা

- আপডেট: ০৩:২৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১০৪৪৭ বার দেখা হয়েছে
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নানা শঙ্কাজনক কথা বললেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের আগে তৃতীয় পর্যালোচনা করতে আইএমএফের ১০ সদস্যের একটি দল ঢাকা সফর করছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে। গণঅভ্যুত্থান, বন্যা ও সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের কারণে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
সময়মতো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ক্রমান্বয়ে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থাটি আরও জানায়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এখনো ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ব্যাংক থেকে মূলধন বের হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে চাপে ফেলেছে।
তবে দেশের অবস্থা এতো খারাপ না মন্তব্য করে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ নানা শঙ্কাজনক কথা বললেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে করের চাপ থেকে সুরক্ষা পাবে গরিব মানুষ: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আরও বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপকে টাকা দেয়া হয়েছে মানবিক কারণে। না হলে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারত না। যে চুরি করেছে তাকে শাস্তি দিতে হবে। শ্রমিকদের কষ্ট দেয়া যাবে না।
এছাড়া আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে গরিব মানুষকে করের চাপ থেকে সুরক্ষা দেয়া হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা শুধু ফাঁকফোকর খোঁজে। ঠিকমতো কর দেয় না। ৫০ কোটি টাকা ব্যবসা করে ৪ কোটি টাকা ট্যাক্স দিতে চায় না।
এদিকে, বাংলাদেশে সফররত আইএমএফের প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানিয়েছেন, চতুর্থ কিস্তির সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার বাংলাদেশ ফ্রেব্রুয়ারির শেষে পাবে। একই পরিমাণ অর্থ পাবে পঞ্চম কিস্তিতে। সেই কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে মার্চ বা এপ্রিলে চতুর্থ পর্যালোচনা করবে আইএমএফ।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভালো খবর হলো আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬.৭ শতাংশে দাঁড়াবে। ওইসময় মূল্যস্ফীতিও ৫-৬ শতাংশে নেমে যাবে। তবে করছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বের হওয়া, ব্যাংকখাতের সংস্কারে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার উপর জোর দিতে হবে।
ঢাকা/এসএইচ