০৪:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

অর্থ লুটপাটকারীদের গুলি করা উচিত: হাইকোর্ট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:১৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ১০৪২১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা যারা লুটপাট ও পাচার করেছে তাদের ‘শুট ডাউন’ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচার মামলার আসামি রাজধানীর শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জামিন শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে আদালত বলেন, কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না? অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল হওয়া উচিত। যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শুট ডাউন’ করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: এখন টাকায় নয়, ঘুষ লেনদেন হচ্ছে ডলারে: হাইকোর্ট

আদালত আরও বলেছেন, যারা বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, পাচার করেছে তাদেরও ‘শুট ডাউন’ করা উচিত।

আদালতে আজ আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানার করা মামলার মোট আসামি ছয়জন।

বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা তিন মামলায় আজ তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ছয়টি মামলার তদন্তকাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসময় আদালত পাঁচ বছরেও বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া এবং অভিযোগপত্র না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আদালত বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় দায়ের হওয়া সব মামলার সবশেষ অগ্রগতি তথ্য আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। দুদককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এসময় আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন বলেন, পাঁচ বছর পার হলেও দুদক মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না। বিচারকাজও শেষ হচ্ছে না। আদালত অর্থপাচারকারীদের জাতির শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না, সে প্রশ্নও রেখেছেন।

বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। অন্য চারটি মামলা জামিন আবেদন শুনানির অপেক্ষায়।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

অর্থ লুটপাটকারীদের গুলি করা উচিত: হাইকোর্ট

আপডেট: ০৮:১৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা যারা লুটপাট ও পাচার করেছে তাদের ‘শুট ডাউন’ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচার মামলার আসামি রাজধানীর শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জামিন শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে আদালত বলেন, কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না? অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল হওয়া উচিত। যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শুট ডাউন’ করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: এখন টাকায় নয়, ঘুষ লেনদেন হচ্ছে ডলারে: হাইকোর্ট

আদালত আরও বলেছেন, যারা বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, পাচার করেছে তাদেরও ‘শুট ডাউন’ করা উচিত।

আদালতে আজ আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানার করা মামলার মোট আসামি ছয়জন।

বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা তিন মামলায় আজ তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ছয়টি মামলার তদন্তকাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসময় আদালত পাঁচ বছরেও বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া এবং অভিযোগপত্র না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আদালত বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় দায়ের হওয়া সব মামলার সবশেষ অগ্রগতি তথ্য আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। দুদককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এসময় আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন বলেন, পাঁচ বছর পার হলেও দুদক মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না। বিচারকাজও শেষ হচ্ছে না। আদালত অর্থপাচারকারীদের জাতির শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না, সে প্রশ্নও রেখেছেন।

বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। অন্য চারটি মামলা জামিন আবেদন শুনানির অপেক্ষায়।

ঢাকা/টিএ