০৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

অষ্ট্রেলিয়ানদের অহমিকা’র পাহাড় গুড়িয়ে দিল টাইগাররা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪২১২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ক্রিকেট পাড়ার কুলীন সমাজের প্রতিনিধি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উঠলেই রাজ্যের ‘অনীহা’ তাদের। টাইগারদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করে না ‘বাণিজ্যিক লাভ নেই’ অজুহাতে। এতে অর্থনৈতিকভাবে নাকি খুব বেশি সফলতা আসে না তাদের। সেই যে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে গেছে অজিরা, এরপর আর দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়নি দুই দল।

অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর প্রায় চার বছর বাদে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে লাল-সবুজের আঙিনায় পা রেখেছে অজিরা। করোনাভাইরাসের মধ্যে সিরিজ হওয়ায় একাধিক শর্ত চাপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ওপর। তাদের সব শর্তই মাথা পেতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- সে গল্প পুরনো।

তবে মাঠের ক্রিকেটে সফলতা ধরতে ছকটা বেশ ভালোভাবেই কষেছে বিসিবি। সফরকারীদের জন্য পেতেছে স্পিনের ফাঁদ। সেই ফাঁদে এবার ভালোভাবেই আটকা পড়েছে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়া।

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে তারা পেয়েছে পরাজয়ের স্বাদ আর বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতলো টাইগাররা।

হিসাব এমন দাঁড়িয়েছে যে, আইসিসির মেগা কোনো ইভেন্ট ছাড়া বাইশ গজের লড়াইয়ে মুখোমুখি খুব একটা হওয়া হয় না বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশকে তারা সে দেশে ডাকেই না অনেকদিন হলো। এদেশে সিরিজ আয়োজন করতে চাইলেও অজিদের নানা টালবাহানা। এমনকি দীর্ঘদিন পর পাঁচ ম্যাচের চলমান এই টি-টোয়েন্টি সিরিজও অস্ট্রেলিয়ার কোনও মিডিয়া সম্প্রচার করছে না বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে না বলে।

এমনকি ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অজিদের। নিরাপত্তা শঙ্কায় শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করে তারা। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সে সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেয়ার পরও সিদ্ধান্ত বদলায়নি অস্ট্রেলিয়া। এমন কি ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব বিশ্বকাপ খেলতে তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাঠায়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সবই ছিল নিরাপত্তার অজুহাতে।

২০১৫ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব ম্যাচ খেলতে না চেয়ে টালবাহানা করেছিল অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলও। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর থেকে একটি চার্টার্ড বিমানে করে এসে কোনরকম ম্যাচটি শেষ করে দেশে ফিরে যায় তারা।

সব অবহেলার হিসাব যেন চুকিয়ে দিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। বাইশ গজে মাঠের লড়াইয়ে একক আধিপত্য টাইগারদের। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো মাটিতে নামিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। এসব দেখে অজি মিডিয়া আর সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের খানিক হলেও টনক নড়বে নিশ্চয়ই!

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x

অষ্ট্রেলিয়ানদের অহমিকা’র পাহাড় গুড়িয়ে দিল টাইগাররা

আপডেট: ১২:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ক্রিকেট পাড়ার কুলীন সমাজের প্রতিনিধি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উঠলেই রাজ্যের ‘অনীহা’ তাদের। টাইগারদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করে না ‘বাণিজ্যিক লাভ নেই’ অজুহাতে। এতে অর্থনৈতিকভাবে নাকি খুব বেশি সফলতা আসে না তাদের। সেই যে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে গেছে অজিরা, এরপর আর দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়নি দুই দল।

অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর প্রায় চার বছর বাদে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে লাল-সবুজের আঙিনায় পা রেখেছে অজিরা। করোনাভাইরাসের মধ্যে সিরিজ হওয়ায় একাধিক শর্ত চাপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ওপর। তাদের সব শর্তই মাথা পেতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- সে গল্প পুরনো।

তবে মাঠের ক্রিকেটে সফলতা ধরতে ছকটা বেশ ভালোভাবেই কষেছে বিসিবি। সফরকারীদের জন্য পেতেছে স্পিনের ফাঁদ। সেই ফাঁদে এবার ভালোভাবেই আটকা পড়েছে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়া।

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে তারা পেয়েছে পরাজয়ের স্বাদ আর বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতলো টাইগাররা।

হিসাব এমন দাঁড়িয়েছে যে, আইসিসির মেগা কোনো ইভেন্ট ছাড়া বাইশ গজের লড়াইয়ে মুখোমুখি খুব একটা হওয়া হয় না বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশকে তারা সে দেশে ডাকেই না অনেকদিন হলো। এদেশে সিরিজ আয়োজন করতে চাইলেও অজিদের নানা টালবাহানা। এমনকি দীর্ঘদিন পর পাঁচ ম্যাচের চলমান এই টি-টোয়েন্টি সিরিজও অস্ট্রেলিয়ার কোনও মিডিয়া সম্প্রচার করছে না বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে না বলে।

এমনকি ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অজিদের। নিরাপত্তা শঙ্কায় শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করে তারা। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সে সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেয়ার পরও সিদ্ধান্ত বদলায়নি অস্ট্রেলিয়া। এমন কি ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব বিশ্বকাপ খেলতে তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাঠায়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সবই ছিল নিরাপত্তার অজুহাতে।

২০১৫ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব ম্যাচ খেলতে না চেয়ে টালবাহানা করেছিল অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলও। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর থেকে একটি চার্টার্ড বিমানে করে এসে কোনরকম ম্যাচটি শেষ করে দেশে ফিরে যায় তারা।

সব অবহেলার হিসাব যেন চুকিয়ে দিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। বাইশ গজে মাঠের লড়াইয়ে একক আধিপত্য টাইগারদের। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো মাটিতে নামিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। এসব দেখে অজি মিডিয়া আর সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের খানিক হলেও টনক নড়বে নিশ্চয়ই!

ঢাকা/এসআর