১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অস্থির পুঁজিবাজারে স্বস্থি ফিরাবে আইসিবির বিনিয়োগ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১০৩৯৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অস্থির পুঁজিবাজারে প্রাণ ফিরাতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল বা সিএমএসএফ এর অর্থ বিনিয়োগ করবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি।এছাড়াও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি ব্যাংকের সঙ্গে তহবিলের জন্য আলোচনা করছে আইসিবি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) চাইছে নতুন করে বিনিয়োগ হোক। এতে করে বাজারে লেনেদেনের খরা কাটবে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এগিয়ে এলে সাহস পাবে অন্যরাও।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

উল্লেখ্য, যে বাজারে গত সেপ্টেম্বরে দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা কমতে কমতে বর্তমানে তিন’শ কোটি টাকার নিচে এসেছ। গত মঙ্গলবার ডিএসইতে ২৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত ২৮ মসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় দুনিয়া জুড়ে অর্থনীতি নিয়ে যে উদ্বেগ, তার বাইরে নয় বাংলাদেশও। বিশ্ববাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনতে গিয়ে রিজার্ভে যে টান পড়েছে, সেটি পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদেরকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।

গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর পুঁজিবাজার মাস দুয়েক চাঙা থাকলেও গত দুই মাস ধরে তা ক্রমেই নিম্নমুখী। ফ্লোর প্রাইস ছাড়িয়ে যেমন কোম্পানির শেয়ারের দর তরতর করে বাড়ছিল, এর মধ্যে সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইস বা আশেপাশের দরে নেমেছে।

শক্তিশালী বহু কোম্পানি, যেগুলো বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদেরকে দারুণ মুনাফা দিয়ে আসছে, সেগুলোর শেয়ারেরও ক্রেতা নেই। এখন আলোচনা হচ্ছে, ফ্লোর প্রাইসের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম সম্প্রতি এক সেমিনারে বলেন,  উন্নত দেশগুলোর স্টক এক্সচেঞ্জে ৯০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বাকী ১০ শতাংশ রিটেইল। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টো। আমাদের বাজারে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও ২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী।

নানা সময় দেখা গেছে এসব ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা গুজব গুঞ্জনে শেয়ার কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যখন দাম বাড়তে থাকে, তখন আরও বাড়বে আশায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে। আবার যখন কমতে থাকে তখন আরও কমে যাবে ভেবে শেয়ার বিক্রি করে পয়সা হারায়। এই পরিস্থিতিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিএসইসি যোগাযোগ করেছে আইসিবির সঙ্গে। পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে যে তহবিল করা হয়েছে, সেখান থেকে অর্থ দেয়ার কথা রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানিকে জানিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন: বিনিয়োগের তথ্য জানতে ২৬ বীমা কোম্পানিকে বিএসইসির তলব

এই তহবিল ছাড়াও জনতা ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে তহবিলের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে আইসিবি। তবে এখন পর্যন্ত দুই ব্যাংকের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

সিএমএসএফ কত টাকা দেবে এবং মোট কত টাকা বিনিয়োগ করা হবে তার পরিমাণ জানাননি আইসিবির এমডি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন বলা যাচ্ছে না।’

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল বা সিএমএসএফ যে টাকা দেবে, সেটি ঋণ হিসেবে দেয়া হবে বলেও জানান আইসিবি এমডি।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

অস্থির পুঁজিবাজারে স্বস্থি ফিরাবে আইসিবির বিনিয়োগ

আপডেট: ১১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অস্থির পুঁজিবাজারে প্রাণ ফিরাতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল বা সিএমএসএফ এর অর্থ বিনিয়োগ করবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি।এছাড়াও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি ব্যাংকের সঙ্গে তহবিলের জন্য আলোচনা করছে আইসিবি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) চাইছে নতুন করে বিনিয়োগ হোক। এতে করে বাজারে লেনেদেনের খরা কাটবে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এগিয়ে এলে সাহস পাবে অন্যরাও।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

উল্লেখ্য, যে বাজারে গত সেপ্টেম্বরে দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা কমতে কমতে বর্তমানে তিন’শ কোটি টাকার নিচে এসেছ। গত মঙ্গলবার ডিএসইতে ২৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত ২৮ মসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় দুনিয়া জুড়ে অর্থনীতি নিয়ে যে উদ্বেগ, তার বাইরে নয় বাংলাদেশও। বিশ্ববাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনতে গিয়ে রিজার্ভে যে টান পড়েছে, সেটি পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদেরকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।

গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর পুঁজিবাজার মাস দুয়েক চাঙা থাকলেও গত দুই মাস ধরে তা ক্রমেই নিম্নমুখী। ফ্লোর প্রাইস ছাড়িয়ে যেমন কোম্পানির শেয়ারের দর তরতর করে বাড়ছিল, এর মধ্যে সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইস বা আশেপাশের দরে নেমেছে।

শক্তিশালী বহু কোম্পানি, যেগুলো বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদেরকে দারুণ মুনাফা দিয়ে আসছে, সেগুলোর শেয়ারেরও ক্রেতা নেই। এখন আলোচনা হচ্ছে, ফ্লোর প্রাইসের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম সম্প্রতি এক সেমিনারে বলেন,  উন্নত দেশগুলোর স্টক এক্সচেঞ্জে ৯০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বাকী ১০ শতাংশ রিটেইল। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টো। আমাদের বাজারে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও ২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী।

নানা সময় দেখা গেছে এসব ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা গুজব গুঞ্জনে শেয়ার কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যখন দাম বাড়তে থাকে, তখন আরও বাড়বে আশায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে। আবার যখন কমতে থাকে তখন আরও কমে যাবে ভেবে শেয়ার বিক্রি করে পয়সা হারায়। এই পরিস্থিতিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিএসইসি যোগাযোগ করেছে আইসিবির সঙ্গে। পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে যে তহবিল করা হয়েছে, সেখান থেকে অর্থ দেয়ার কথা রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানিকে জানিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন: বিনিয়োগের তথ্য জানতে ২৬ বীমা কোম্পানিকে বিএসইসির তলব

এই তহবিল ছাড়াও জনতা ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে তহবিলের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে আইসিবি। তবে এখন পর্যন্ত দুই ব্যাংকের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

সিএমএসএফ কত টাকা দেবে এবং মোট কত টাকা বিনিয়োগ করা হবে তার পরিমাণ জানাননি আইসিবির এমডি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন বলা যাচ্ছে না।’

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল বা সিএমএসএফ যে টাকা দেবে, সেটি ঋণ হিসেবে দেয়া হবে বলেও জানান আইসিবি এমডি।

ঢাকা/টিএ