১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

অ্যাপলের নতুন এআই টুলে যা থাকবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৬:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • / ১০৪২৩ বার দেখা হয়েছে

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির জয়জয়কার। তবে এআই নির্ভর বিভিন্ন টুল তৈরিতে বেশ পিছিয়ে রয়েছে আইফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাপল। আর তাই এবার নিজেদের আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে এআই ভিত্তিক নতুন একাধিক সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সম্প্রতি ডেভেলপার কনফারেন্স ইভেন্টে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স এআই টুলের ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে চ্যাটজিপিটি ও গুগল জেমিনি এআই টুল নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাপল। তবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স দেরি করে শুরু করলেও দুই এআই টুলকে জোরদার টেক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার কারণ মূলত দুটি।

প্রথমত, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সংস্থার সমস্ত ডিভাইসে (আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাক) ডিফল্ট অ্যাপ হিসাবে পাওয়া যাবে। আর বিশ্বে আইফোন ও ম্যাকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক কোটি। ব্যবহারের দিক দিয়ে প্রথমেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে অ্যাপল।

আরও পড়ুন: অন্য ডিভাইসে ফেসবুক লগআউট করবেন যেভাবে

দ্বিতীয়ত, ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। অর্থাৎ ব্যবহারকারীদের থেকে যতটা সম্ভব কম তথ্য নিয়ে  সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া। কেননা পাওয়ার ক্লাউড কম্পিউট নামক এক সিস্টেম দ্বারা ব্যবহারকারীদের ডাটা সুরক্ষিত রাখবে সংস্থাটি।

অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে যা যা করা যাবে

অন্য আর পাঁচটা এআই টুল যা যা করে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সও তাই করা যাবে। প্রাথমিক ভাবে এআই রাইটিং, ইমেজ এডিটিং ইত্যাদি কাজ করা যাবে। চ্যাটজিপিটি, গুগল জেমিনির মতো এটিও জেনারেটিভ এআই দ্বারা তৈরি একটি লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম)  তবে সংস্থাটি দাবি, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স অনেক দ্রুত এবং উন্নত।

যেসব ডাটা নেওয়া হবে ব্যবহারকারীদের

প্রাইভেসি নিয়ে অ্যাপল নানা দাবি করলেও ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু ডাটা সংগ্রহ করবে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে মেসেজ, লোকেশন, ক্যালেন্ডার, ম্যাপ, ফোন কল, ছবি ইত্যাদি। এই সমস্ত ব্যক্তিগত ডাটা বুঝেই ব্যবহারকারীকে তার চাহিদা মতো সেবা দিতে পারবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। তবে সেসব ডাটা মনিটরিংয়ের কিছু নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের কাছেও থাকবে। যা তারা ডিজেবল করে রাখতে পারেন।

ব্যক্তিগত অ্যাসিস্টেন্ট

অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স আইফোন, আইপ্যাড কিংবা ম্যাক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে উঠবে। ইউজারের যা যা নোটিফিকেশন আসে এবং মেসেজ গুলো প্রায়োরিটি অনুযায়ী লিস্ট করবে এবং সামনে উপস্থাপন করবে। এছাড়াও ব্যবহারকারীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা থাকবে।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

অ্যাপলের নতুন এআই টুলে যা থাকবে

আপডেট: ১১:৫৬:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির জয়জয়কার। তবে এআই নির্ভর বিভিন্ন টুল তৈরিতে বেশ পিছিয়ে রয়েছে আইফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাপল। আর তাই এবার নিজেদের আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে এআই ভিত্তিক নতুন একাধিক সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সম্প্রতি ডেভেলপার কনফারেন্স ইভেন্টে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স এআই টুলের ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে চ্যাটজিপিটি ও গুগল জেমিনি এআই টুল নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাপল। তবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স দেরি করে শুরু করলেও দুই এআই টুলকে জোরদার টেক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার কারণ মূলত দুটি।

প্রথমত, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সংস্থার সমস্ত ডিভাইসে (আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাক) ডিফল্ট অ্যাপ হিসাবে পাওয়া যাবে। আর বিশ্বে আইফোন ও ম্যাকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক কোটি। ব্যবহারের দিক দিয়ে প্রথমেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে অ্যাপল।

আরও পড়ুন: অন্য ডিভাইসে ফেসবুক লগআউট করবেন যেভাবে

দ্বিতীয়ত, ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। অর্থাৎ ব্যবহারকারীদের থেকে যতটা সম্ভব কম তথ্য নিয়ে  সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া। কেননা পাওয়ার ক্লাউড কম্পিউট নামক এক সিস্টেম দ্বারা ব্যবহারকারীদের ডাটা সুরক্ষিত রাখবে সংস্থাটি।

অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে যা যা করা যাবে

অন্য আর পাঁচটা এআই টুল যা যা করে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সও তাই করা যাবে। প্রাথমিক ভাবে এআই রাইটিং, ইমেজ এডিটিং ইত্যাদি কাজ করা যাবে। চ্যাটজিপিটি, গুগল জেমিনির মতো এটিও জেনারেটিভ এআই দ্বারা তৈরি একটি লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম)  তবে সংস্থাটি দাবি, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স অনেক দ্রুত এবং উন্নত।

যেসব ডাটা নেওয়া হবে ব্যবহারকারীদের

প্রাইভেসি নিয়ে অ্যাপল নানা দাবি করলেও ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু ডাটা সংগ্রহ করবে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে মেসেজ, লোকেশন, ক্যালেন্ডার, ম্যাপ, ফোন কল, ছবি ইত্যাদি। এই সমস্ত ব্যক্তিগত ডাটা বুঝেই ব্যবহারকারীকে তার চাহিদা মতো সেবা দিতে পারবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। তবে সেসব ডাটা মনিটরিংয়ের কিছু নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের কাছেও থাকবে। যা তারা ডিজেবল করে রাখতে পারেন।

ব্যক্তিগত অ্যাসিস্টেন্ট

অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স আইফোন, আইপ্যাড কিংবা ম্যাক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে উঠবে। ইউজারের যা যা নোটিফিকেশন আসে এবং মেসেজ গুলো প্রায়োরিটি অনুযায়ী লিস্ট করবে এবং সামনে উপস্থাপন করবে। এছাড়াও ব্যবহারকারীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা থাকবে।

ঢাকা/এসএইচ