০৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত আজ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৪৩০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ছাড়ের প্রস্তাব আজ সংস্থাটির বোর্ড সভায় উঠবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ওয়াংশিটনে অবস্থিত আইএমএফ কার্যালয়ে এই সভা হওয়ার কথা রয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ডলার অর্থ ছাড় করা হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় আইএমএফের পর্ষদ। এরপর চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় করেছিল।

জানা যায়, বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফ’র প্যাকেজে দুই ধরনের ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা বা বর্ধিত তহবিল (ইসিএফ অ্যান্ড ইএফএফ) থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ ঋণ কর্মসূচি চলাকালীন বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের শর্ত পরিপালন ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, গত জুনে বাংলাদেশের প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ থাকার কথা ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার। কিন্তু তা রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য ছিল ২ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। সেটিও হয়নি। ডিসেম্বরের লক্ষ্য ২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ তাও পারবে না বলে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। এরপর বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকৃত রিজার্ভ নতুন করে ২ হাজার ৯৩ কোটি ডলারে বেঁধে দেয় আইএমএফ। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটির মানদন্ড বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারে রয়েছে। ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি ডলার। সে হিসাবে আগামী জুন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএফআইসি ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষর

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বর্তমানে প্রতিদিন রিজার্ভ থেকে সাত-আট কোটি ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও জ্বালানি কেনার জন্য এ পরিমাণ ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় চলতি অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়।

দেশে প্রায় দুই বছর ধরে চলছে ডলার সংকট। এই সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তাতে বেশ একটা সুফল বয়ে আনতে পারে নি আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এখনো রিজার্ভ থেকে ধারবাহিকভাবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এই সংকটের মধ্যে বিদেশি ঋণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত আজ

আপডেট: ১২:২৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ছাড়ের প্রস্তাব আজ সংস্থাটির বোর্ড সভায় উঠবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ওয়াংশিটনে অবস্থিত আইএমএফ কার্যালয়ে এই সভা হওয়ার কথা রয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ডলার অর্থ ছাড় করা হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় আইএমএফের পর্ষদ। এরপর চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় করেছিল।

জানা যায়, বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফ’র প্যাকেজে দুই ধরনের ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা বা বর্ধিত তহবিল (ইসিএফ অ্যান্ড ইএফএফ) থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ ঋণ কর্মসূচি চলাকালীন বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের শর্ত পরিপালন ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, গত জুনে বাংলাদেশের প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ থাকার কথা ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার। কিন্তু তা রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য ছিল ২ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। সেটিও হয়নি। ডিসেম্বরের লক্ষ্য ২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ তাও পারবে না বলে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। এরপর বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকৃত রিজার্ভ নতুন করে ২ হাজার ৯৩ কোটি ডলারে বেঁধে দেয় আইএমএফ। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটির মানদন্ড বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারে রয়েছে। ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি ডলার। সে হিসাবে আগামী জুন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএফআইসি ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষর

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বর্তমানে প্রতিদিন রিজার্ভ থেকে সাত-আট কোটি ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও জ্বালানি কেনার জন্য এ পরিমাণ ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় চলতি অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়।

দেশে প্রায় দুই বছর ধরে চলছে ডলার সংকট। এই সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তাতে বেশ একটা সুফল বয়ে আনতে পারে নি আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এখনো রিজার্ভ থেকে ধারবাহিকভাবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এই সংকটের মধ্যে বিদেশি ঋণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ঢাকা/কেএ