০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিনিয়োগ তদন্তে অর্থ মন্ত্রনালয়ের কমিটি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১৪৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানিতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিনিয়োগের অভিয়োগ তুলে হাই কোর্টে রিট করেছে এক বিনিয়োগকারী। আইডিআরএ এর চেয়াম্যানের এই বিনিয়োগ বিমা আইনের পরিপন্থি। বিষয়টি আমলে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এ কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন অর রশিদ মোল্লাকে আহ্বায়ক ও একই বিভাগের যুগ্ম সচিব মৃত্যুঞ্জয় সাহাকে এ কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।

জানা গেছে, এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের বাদী ও বিবাদী পক্ষের বক্তব্য শুনবে কমিটি। এছাড়া আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহায়তা নেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করা সম্ভব না হলে সময় বাড়ানোর আবেদন করার বিষয়টিও কমিটির বিবেচনায় রয়েছে।

সম্প্রতি পুঁজিবাজারের একজন বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী বিমা কোম্পানিতে আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিধিবহির্ভূত বিনিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটে বলা হয়, লাভস অ্যান্ড লাইভস অর্গানিকস লিমিটেড (এলএলওএল) পিএলআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

২০১৯ সালে গঠন করা পিএলআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পাঁচ লাখ শেয়ার এলএলওএলের কাছে রয়েছে। এছাড়া পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৩৫ লাখ, বিএম ইউসুফ আলীর কাছে সাড়ে সাত লাখ এবং মোস্তফা হেলাল কবীরের কাছে কোম্পানিটির আড়াই লাখ শেয়ার রয়েছে। পিএলআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পর্ষদে এলএলওএলের প্রতিনিধি হিসেবে মো. বোরহান উদ্দিন দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ঠিকানা ব্যবহার করেছেন, যেটি একসময় আইডিআরএ চেয়ারম্যানের আবাসিক ঠিকানা ছিল।

রিটে আরও বলা হয়, এলএলওএল ও গুলশান ভ্যালি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (জিভিএআইএল) গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে এলএলওএল এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড, এলএলওএল এমপ্লয়িজ কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, জিভিএআইএল এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ও জিভিএআইএল এমপ্লয়িজ কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন।

আইডিআরএ আইন ২০১০-এর সেকশন ২৭ অনুসারে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ক্ষেত্রে স্বার্থগত দ্বন্দ্বের কারণে বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আইডিআরএর বিভিন্ন সভায় চেয়ারম্যান হিসেবে ড. এম মোশাররফ হোসেন অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে বিমা কোম্পানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

একই সময়ে তার মালিকানাধীন কোম্পানির মাধ্যমে এসব বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ বিধিমালারও লঙ্ঘন। আইডিআরএর আইনের সেকশন ১৪(১)(ঘ) ও (ঙ) অনুসারে এ ধরনের কার্যক্রমের ফলে পদ থেকে অপসারণের বিধান রয়েছে।

রিট আবেদনের শুনানিতে উচ্চ আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) ড. মোশাররফের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ আদেশ হাতে পাওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। আদালতকে বিএফআইইউর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর তারা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। পরবর্তী শুনানির সময় তারা আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানান। আদালতে ড. মোশাররফের আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সব তথ্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত গত ২ ফেব্রুয়ারি ড. এম মোশাররফ হোসেন আইডিআরএর সদস্য ও চেয়ারম্যান থাকাকালে এলএলওএল ও জিভিএআইএলের গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন কিনা সেটি তদন্ত ও যাচাই করার নির্দেশ দেন।

একইভাবে পিএলআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডে এলএলওএলের বিনিয়োগের বিষয়টিও তদন্ত ও যাচাই করে দেখার নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত সাপেক্ষে আইডিআরএ আইন ২০১০-এর সেকশন ১৪ অনুসারে ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সেটি প্রতিবেদন আকারে আদালতের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে তদন্ত করে এ বছরের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কিংবা তার আগে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সম্প্রতি আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন কর্তৃক বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x

আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিনিয়োগ তদন্তে অর্থ মন্ত্রনালয়ের কমিটি

আপডেট: ১২:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানিতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিনিয়োগের অভিয়োগ তুলে হাই কোর্টে রিট করেছে এক বিনিয়োগকারী। আইডিআরএ এর চেয়াম্যানের এই বিনিয়োগ বিমা আইনের পরিপন্থি। বিষয়টি আমলে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এ কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন অর রশিদ মোল্লাকে আহ্বায়ক ও একই বিভাগের যুগ্ম সচিব মৃত্যুঞ্জয় সাহাকে এ কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।

জানা গেছে, এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের বাদী ও বিবাদী পক্ষের বক্তব্য শুনবে কমিটি। এছাড়া আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহায়তা নেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করা সম্ভব না হলে সময় বাড়ানোর আবেদন করার বিষয়টিও কমিটির বিবেচনায় রয়েছে।

সম্প্রতি পুঁজিবাজারের একজন বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী বিমা কোম্পানিতে আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিধিবহির্ভূত বিনিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটে বলা হয়, লাভস অ্যান্ড লাইভস অর্গানিকস লিমিটেড (এলএলওএল) পিএলআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

২০১৯ সালে গঠন করা পিএলআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পাঁচ লাখ শেয়ার এলএলওএলের কাছে রয়েছে। এছাড়া পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কাছে ৩৫ লাখ, বিএম ইউসুফ আলীর কাছে সাড়ে সাত লাখ এবং মোস্তফা হেলাল কবীরের কাছে কোম্পানিটির আড়াই লাখ শেয়ার রয়েছে। পিএলআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পর্ষদে এলএলওএলের প্রতিনিধি হিসেবে মো. বোরহান উদ্দিন দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ঠিকানা ব্যবহার করেছেন, যেটি একসময় আইডিআরএ চেয়ারম্যানের আবাসিক ঠিকানা ছিল।

রিটে আরও বলা হয়, এলএলওএল ও গুলশান ভ্যালি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (জিভিএআইএল) গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে এলএলওএল এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড, এলএলওএল এমপ্লয়িজ কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, জিভিএআইএল এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ও জিভিএআইএল এমপ্লয়িজ কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন।

আইডিআরএ আইন ২০১০-এর সেকশন ২৭ অনুসারে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ক্ষেত্রে স্বার্থগত দ্বন্দ্বের কারণে বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আইডিআরএর বিভিন্ন সভায় চেয়ারম্যান হিসেবে ড. এম মোশাররফ হোসেন অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে বিমা কোম্পানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

একই সময়ে তার মালিকানাধীন কোম্পানির মাধ্যমে এসব বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ বিধিমালারও লঙ্ঘন। আইডিআরএর আইনের সেকশন ১৪(১)(ঘ) ও (ঙ) অনুসারে এ ধরনের কার্যক্রমের ফলে পদ থেকে অপসারণের বিধান রয়েছে।

রিট আবেদনের শুনানিতে উচ্চ আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) ড. মোশাররফের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ আদেশ হাতে পাওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। আদালতকে বিএফআইইউর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর তারা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। পরবর্তী শুনানির সময় তারা আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানান। আদালতে ড. মোশাররফের আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সব তথ্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত গত ২ ফেব্রুয়ারি ড. এম মোশাররফ হোসেন আইডিআরএর সদস্য ও চেয়ারম্যান থাকাকালে এলএলওএল ও জিভিএআইএলের গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন কিনা সেটি তদন্ত ও যাচাই করার নির্দেশ দেন।

একইভাবে পিএলআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডে এলএলওএলের বিনিয়োগের বিষয়টিও তদন্ত ও যাচাই করে দেখার নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত সাপেক্ষে আইডিআরএ আইন ২০১০-এর সেকশন ১৪ অনুসারে ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সেটি প্রতিবেদন আকারে আদালতের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে তদন্ত করে এ বছরের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কিংবা তার আগে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সম্প্রতি আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন কর্তৃক বিমা কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

ঢাকা/এসআর