আইন মেনে ব্যবসা না করলে ব্যবস্থা: ডিজি সফিকুজ্জামান

- আপডেট: ০৭:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১০৩২৩ বার দেখা হয়েছে
আইন মেনে ব্যবসা না করে ভোক্তা থেকে অতিরিক্ত দাম রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, যারা আইন মেনে ব্যবসা করবে তাদের পুরস্কৃত করবো। যারা আইন মেনে ব্যবসা করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে।
আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে আসন্ন রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
মহাপরিচালক বলেন, কারওয়ান বাজার এবং নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা মূল্য তালিকা টানিয়ে ব্যবসা করছেন। ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা দিবস উদযাপন হবে। দিবস উপলক্ষে যারা আইনের বেস্ট প্রাকটিস করছে অর্থাৎ আইন মেনে ব্যবসা করছেন তাদের পুরস্কৃত করবো। যারা আইন মেনে ব্যবসা করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে।
ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, আপনারা বাজার কমিটির নেতা হয়েছেন আমি বিশ্বাস করি না যে কোনো প্রভাব ছাড়াই নেতা হয়েছেন। আপনাদের ইলেকশনে আমি জানি কত টাকা খরচ করেন। এক কোটি টাকা খরচ করে নেতা হয়ে দুই বছরে পাঁচ কোটি টাকা লাভ করতে হবে- এই চিন্তাধারা ভুলে যেতে হবে। যে বাজার কমিটিকে দেখবো কারসাজির সঙ্গে জড়িত সেই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করবো।
আরও পড়ুন: ‘শরিফার গল্প’ পর্যালোচনায় ৫ সদস্যের কমিটি
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, রমজান মাস একটা স্পর্শকাতর মাস। ভোক্তা চায় কম দামে দ্রব্য কিনতে, আবার ব্যবসায়ীরা চায় একটু লাভ করতে। মিল মালিক চালের দাম ২ টাকা বাড়িয়েছে। কেন উনি ২ টাকা বাড়ালো? এর প্রভাবে বাজারে এসে ৮ টাকা হয়। দাম বাড়ানোর জন্য বাজার স্লো করে দেওয়া হয়। যারা এই কাজ করে তাদের নজরদারিতে আনতে হবে। কিন্তু দাম বাড়লে দোষ যায় খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর। যিনি অপরাধী তাকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হোক। তাকে ব্যবসায়ী হিসেবে গণ্য করার দরকার নাই। তার দায়িত্ব আমরা নিতে চাই না।
রমজানে ছোলা, ডাল, তেল, খেজুর এ ধরনের পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যান্য সময়ে তেল-চিনির চাহিদা থাকে দেড় লাখ টন। কিন্তু রমজানে এর চাহিদা তিন লাখ টন হয়ে যায়। রমজানে পণ্যের সাপ্লাই চেইন ধরে রাখা একটা চ্যালেঞ্জ।
ঢাকা/কেএ