০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

আইপিও দুর্নীতি, বিএসইসিতে দুদকের অভিযান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৩৯:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৪৬০ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (০২ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিএসইসি’র সদর দপ্তরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম বিএসইসির আইপিও অনুমোদন সংক্রান্ত কোম্পানির আবেদনের তালিকা, প্রসপেক্টাস, নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একই সময়ে দুদকের অন্য একটি দল বিএসইসিতে বেক্সিমকোর সুকুক এবং আইএফআইসি আমার বন্ড সম্পর্কিত তথ্য ও নথিপত্র সংগ্রহ করতে যায়। যেগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে কোম্পানিগুলো কর্তৃক দাখিল করা বানোয়াট উপার্জন এবং উইন্ডো ড্রেসিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা ব্যালেন্স শিটের ভিত্তিতে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ডিএসইর সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণ অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত হয়েছে, যা অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

এছাড়া, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট জালিয়াতি ও বাণিজ্য, শেয়ার বাজারে অধিকমূল্যে শেয়ার প্রাইস নিয়ে প্রবেশ ও দ্রুত শেয়ার বিক্রির বিষয়েও বিএসইসি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে দুদক জানিয়েছে। দুর্বল কোম্পানিগুলোর অবৈধ আইপিও অনুমোদন দেয়ার পর কিছুদিনের মধ্যে তাদেরকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন: পুনরুদ্ধার হয়নি শেয়ার বাজার, কমেছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা!

দুদক আরো জানায়, অভিযানে পাওয়া অনিয়মের বিষয়ে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এ ঘটনায় অনেকের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে যে, ১৫ বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশের শেয়ারবাজারে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে। অনেক দুর্বল কোম্পানি, এমনকি উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলোকেও আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক ও আমার বন্ড ইস্যু করে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ দুদক বিএসইসিতে অভিযান পরিচালনা করেছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

আইপিও দুর্নীতি, বিএসইসিতে দুদকের অভিযান

আপডেট: ১০:৩৯:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (০২ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিএসইসি’র সদর দপ্তরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম বিএসইসির আইপিও অনুমোদন সংক্রান্ত কোম্পানির আবেদনের তালিকা, প্রসপেক্টাস, নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একই সময়ে দুদকের অন্য একটি দল বিএসইসিতে বেক্সিমকোর সুকুক এবং আইএফআইসি আমার বন্ড সম্পর্কিত তথ্য ও নথিপত্র সংগ্রহ করতে যায়। যেগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে কোম্পানিগুলো কর্তৃক দাখিল করা বানোয়াট উপার্জন এবং উইন্ডো ড্রেসিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা ব্যালেন্স শিটের ভিত্তিতে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ডিএসইর সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণ অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত হয়েছে, যা অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

এছাড়া, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট জালিয়াতি ও বাণিজ্য, শেয়ার বাজারে অধিকমূল্যে শেয়ার প্রাইস নিয়ে প্রবেশ ও দ্রুত শেয়ার বিক্রির বিষয়েও বিএসইসি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে দুদক জানিয়েছে। দুর্বল কোম্পানিগুলোর অবৈধ আইপিও অনুমোদন দেয়ার পর কিছুদিনের মধ্যে তাদেরকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন: পুনরুদ্ধার হয়নি শেয়ার বাজার, কমেছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা!

দুদক আরো জানায়, অভিযানে পাওয়া অনিয়মের বিষয়ে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এ ঘটনায় অনেকের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে যে, ১৫ বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশের শেয়ারবাজারে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে। অনেক দুর্বল কোম্পানি, এমনকি উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলোকেও আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক ও আমার বন্ড ইস্যু করে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ দুদক বিএসইসিতে অভিযান পরিচালনা করেছে।

ঢাকা/এসএইচ