‘আন্দোলনে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে’

- আপডেট: ০৩:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / ১০৩৭৩ বার দেখা হয়েছে
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও ভ্যাট শীর্ষক সেমিনারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক এই সেমিনারটি আয়োজন করেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের এক দফা দাবিতে ২২ জুন থেকে আন্দোলন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে; এটা নিয়ে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে অনেক দ্বিমত এসেছে। সেগুলোকে অ্যাড্রেস করে জুলাই মাসের মধ্যে একটা এমান্ডেন্ট করার ঘোষণা আমাদের অর্থ উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ এনবিআর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। এই আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্ত আমরা পাব বলে আশা করছি।
আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়ে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জুন মাসের আর দুইদিন আছে। প্রতি মুহূর্তে আমি কর আদায়ের পরিস্থিতি দেখি। গতকাল পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে। এবারে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম। গত বারের চেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রোথ হবে আশা করছি। আন্দোলনের কারণে কিছুটাতো বাধাগ্রস্ত হচ্ছেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই দেশের স্বার্থে কাজ করি। আমাদের দেশের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করা উচিত। সংস্কার, যেকোনো আইন করি, আন্দোলন করি, যা কিছু করি প্রত্যেকটাই আমাদের নিজেদের জন্য না হয়ে যদি দেশের জন্য হয়। ছোট ভাই বোনেরা যারা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে সে স্পিরিট আমাদের মধ্যে এনেছে তা ধরে রেখে সবাই মিলে কাজ করলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ট্যারিফ কমাতে হবে। এবার বাজেট প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার৷ এর ফলে ৩ লাখ কোটি টাকা ঋণ যোগ হবে। দেনা আরও বাড়লো। পরবর্তী প্রজন্মকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ট্যাক্স জিডিপি কম। আমরা অটোমেশন করছি। চেয়ারম্যান বলেন, গরিব মানুষের ওপর চাপ বাড়ায় বিস্কুটে ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে ছাড় দিয়েছি।
আরও পড়ুন: শূন্য কার্বন নিঃসরণে সরকার উল্টো পথে হাঁটছে
আবদুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার কমেছে। যাতে মানুষের ওপর চাপ না পড়ে। বাজেটের সাইজ যতোটা ছোট করেছে ধরে নিতে হবে রাষ্ট্র ততোটা সঞ্চয় করেছে, ততোটা ঋণের চাপ থেকে কমেছে।
চেয়ারম্যান বলেন, গতকাল পর্যন্ত অনলাইন রিটার্ন ১৭ লাখ পার হয়েছে। গত বছর এটা ৫ লাখ ছিল৷ জুলাই থেকে আগামী অর্থবছরের অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া যাবে। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো ও বন্ড ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম আধুনিক করা হয়েছে। কর যেখান থেকে নেওয়ার কথা সেখান থেকে নিতে পারলে এসব ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া যায়। ভোক্তারা সব সময় কর ছাড়ের সুবিধা পায় না।
সেমিনারে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা।
ঢাকা/এসএইচ