আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত: ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

- আপডেট: ০৫:০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১০৩৭৩ বার দেখা হয়েছে
আরজি কর ঘটনায় নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে আন্দোলন করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের প্রতিবাদে পৌঁছেই হামলার শিকার হন অভিনেত্রী।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, সেখানে উপস্থিত হয়ে ভেবেছিলাম, এত মানুষের প্রতিবাদ বৃথা যাবে না। মূলত সুবিচারের আশায় যাই। জমায়েতে যোগ দিয়ে মোমবাতি জ্বালাই। অথচ খানিক বাদেই বদলে গেল ছবিটা। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো। আমার উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন অনেকে। কেউ কেউ চার পাশ থেকে উলুধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ করল। এতে কিছু মনে করেছি, এমন না। সেসময় আমার গাড়িতে জুতো ছোড়া হলো। আমি দরজা খুলে তাদের বলেছিলাম আপনারা এমন করবেন না। আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। কিন্তু কেউ কোনো কথাই শুনলেন না। আসলে আমার মনে হয়, কিছু মানুষ প্রতিবাদের কথা মাথায় না রেখে, হুজুগে চলে গিয়েছিলেন জমায়েতে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রতীরে মোহময়ী রূপে জ্যাকলিন!
তিনি আরও বলেন, আমি বুঝেছি সবাই ক্ষুব্ধ। কিন্তু কলকাতার প্রতিবাদী চেহারার মধ্যে এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত। আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত। আমি একজন অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে, একজন নারী হিসেবে অন্য মহিলার পাশে দাঁড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু বিরাট সংখ্যক মত্ত এই ঘটনা ঘটাল। আচমকাই একটা জনস্রোত ধাক্কা দিতে শুরু করল। চারদিকে এত চিৎকার হচ্ছিল যে, কারও কোনো কথা শুনতে পাচ্ছিলাম না।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, আমি তো কাল কোনো তারকা হিসেবে না, মানুষ হিসেবে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে যে ঘটনাটা ঘটলো, সেখানে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মাও এসেছিলেন। ভেবেছিলাম, একবার দেখা করব তাদের সঙ্গে। তাদের বলার ইচ্ছা ছিল লড়াইয়ের আমিও রয়েছি। সেটি আর হলো কোথায়? তবে এই ঘটনার পর আমি থেমে যাব, এমন মা। আমার মনের মধ্যে প্রতিবাদ থাকবে। আমিও একই ভাবে সুবিচার চাইব। সেটা থামবে না।
ঢাকা/এসএইচ