০১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

আমেরিকা প্রবাসী ইসতিয়াকের ওপর হামলার ১৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৬০ বার দেখা হয়েছে

মুন্সীগঞ্জে আমেরিকা প্রবাসী সৈয়দ ইসতিয়াক শিবলীর (৩৫) ওপর হামলার দীর্ঘ ১৫ দিন হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ওই আমেরিকা প্রবাসীর মধ্যে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদরের সিপাহী পাড়ার মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মাহবুবুর রহমান সেলিম, মৃত চান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন ভূইয়া ও সেন্টু ভূইয়া, বাচ্চু মিয়ার ছেলে রায়হান ও সালাউদ্দিনের ছেলে তানভীরদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল ইসতিয়াকের। এর জেরে বিবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী ইসতিয়াককে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল।

গত ৮ জানুয়ারি ইসতিয়াক ছুটিতে বাড়ি আসেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিবাদীরা গত ১০ জানুয়ারি সিপাহী পড়ায় ইসতিয়াকের গ্রামের বাড়িতে লাঠি-সোটা, লোহার রড, চাকুসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ইসতিয়াক মারাত্মকভাবে আহত হন। এ সময় তার গলায় থাকা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।

সূত্র আরো জানায়, পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করে। গত ১২ জানুয়ারি তার মামাতো ভাই মোহাম্মদ মাজাহারুল আমিন বাদী হতে উল্লেখিত ৫ জনসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

মামলার বাদী মাজাহারুল আমিন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।’

আহত আমেরিকা প্রবাসী ইসতিয়াক শিবলী বলেন, ‘মামলা করার পর আমি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দেখা করেছি। কিন্তু এখনও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে আমি ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিয়ে বিব্রত ও অসন্তোষ প্রকাশ করছি।’

হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘মামলাটি এখন হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিফাত তদন্ত করছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে জেলা পুলিশ সুপার আসলাম খানের করা নির্দেশনা রয়েছে।

মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তিনি এর তদারকি করছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’ সূত্র: কালের কন্ঠ

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

আমেরিকা প্রবাসী ইসতিয়াকের ওপর হামলার ১৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

আপডেট: ০৫:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

মুন্সীগঞ্জে আমেরিকা প্রবাসী সৈয়দ ইসতিয়াক শিবলীর (৩৫) ওপর হামলার দীর্ঘ ১৫ দিন হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ওই আমেরিকা প্রবাসীর মধ্যে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদরের সিপাহী পাড়ার মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মাহবুবুর রহমান সেলিম, মৃত চান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন ভূইয়া ও সেন্টু ভূইয়া, বাচ্চু মিয়ার ছেলে রায়হান ও সালাউদ্দিনের ছেলে তানভীরদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল ইসতিয়াকের। এর জেরে বিবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী ইসতিয়াককে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল।

গত ৮ জানুয়ারি ইসতিয়াক ছুটিতে বাড়ি আসেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিবাদীরা গত ১০ জানুয়ারি সিপাহী পড়ায় ইসতিয়াকের গ্রামের বাড়িতে লাঠি-সোটা, লোহার রড, চাকুসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ইসতিয়াক মারাত্মকভাবে আহত হন। এ সময় তার গলায় থাকা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।

সূত্র আরো জানায়, পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করে। গত ১২ জানুয়ারি তার মামাতো ভাই মোহাম্মদ মাজাহারুল আমিন বাদী হতে উল্লেখিত ৫ জনসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

মামলার বাদী মাজাহারুল আমিন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।’

আহত আমেরিকা প্রবাসী ইসতিয়াক শিবলী বলেন, ‘মামলা করার পর আমি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দেখা করেছি। কিন্তু এখনও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে আমি ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিয়ে বিব্রত ও অসন্তোষ প্রকাশ করছি।’

হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘মামলাটি এখন হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিফাত তদন্ত করছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে জেলা পুলিশ সুপার আসলাম খানের করা নির্দেশনা রয়েছে।

মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তিনি এর তদারকি করছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’ সূত্র: কালের কন্ঠ

ঢাকা/টিএ