১১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

আর্থিক খাতের ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
  • / ১০৯৯৫ বার দেখা হয়েছে

আর্থিক খাতের ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আজ দুপুরে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি এ.কে.এম মিজানুর রশীদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর বরাবর জমা দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন যাবত অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি দিয়েছেন। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর চেয়ারম্যান মহোদয়ও বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রশংসনীয়। পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আপনার তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা বিনিয়োগকারীরা কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সাথে আলোচনা করার অনুরোধ করছি। আপনার জারিকৃত ডিএফআইএস সার্কুলার নং-০১, তারিখ-২৪-০২-২০২১ইং এর বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি।
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উপরোক্ত সার্কুলার জারির পর থেকে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামের উপর নেতিকবাচক প্রভাব পড়েছে। বর্তমান বিএসইসি’র চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর সকলের সহযোগিতায় বাজার স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছিল কিন্তু আপনার দেওয়া সার্কুলার আসার পর থেকে বাজার অস্থিতিশীল তৈরি হচ্ছে এবং বাজার উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এর ফলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়ে ক্ষতির মধ্যে পড়বে। এ রকম সাধারণ একটি ঘোষণা দিয়ে লভ্যাংশ টেনে ধরার ফলে বিনিয়োগকারীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে এবং পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বিনিয়োগকারীদের বেঁচে থাকার স্বার্থে উক্ত সার্কুলারটি প্রত্যাহার করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী বলে আমরা মনে করি।
অতএব, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আপনার জারিকৃত ডিএফআইএম সার্কুলার নং-০১ প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

আর্থিক খাতের ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবি

আপডেট: ০৫:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১

আর্থিক খাতের ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আজ দুপুরে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি এ.কে.এম মিজানুর রশীদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর বরাবর জমা দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন যাবত অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি দিয়েছেন। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর চেয়ারম্যান মহোদয়ও বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রশংসনীয়। পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আপনার তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা বিনিয়োগকারীরা কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সাথে আলোচনা করার অনুরোধ করছি। আপনার জারিকৃত ডিএফআইএস সার্কুলার নং-০১, তারিখ-২৪-০২-২০২১ইং এর বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি।
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উপরোক্ত সার্কুলার জারির পর থেকে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামের উপর নেতিকবাচক প্রভাব পড়েছে। বর্তমান বিএসইসি’র চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর সকলের সহযোগিতায় বাজার স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছিল কিন্তু আপনার দেওয়া সার্কুলার আসার পর থেকে বাজার অস্থিতিশীল তৈরি হচ্ছে এবং বাজার উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এর ফলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়ে ক্ষতির মধ্যে পড়বে। এ রকম সাধারণ একটি ঘোষণা দিয়ে লভ্যাংশ টেনে ধরার ফলে বিনিয়োগকারীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে এবং পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বিনিয়োগকারীদের বেঁচে থাকার স্বার্থে উক্ত সার্কুলারটি প্রত্যাহার করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী বলে আমরা মনে করি।
অতএব, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আপনার জারিকৃত ডিএফআইএম সার্কুলার নং-০১ প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন: